করোনায় মার্কেট খারাপ এমনই দিতে হবে
ভোলা লক্ষ্মীপুর ঘাটে বিআইডব্লিউটিসির হারুনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ
অভিযুক্ত হারুন
দ্বীপ জেলা ভোলার সাথে দেশের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের ১৫ টি জেলার সাথে যাতায়াত। আর সেই সুযোগে ভোলা থেকে যাওয়ার পথে গাড়ী ড্রাইভারদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বিআইডব্লিউটিসির টিকেট কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা মোঃ হারুন।
ভোলার গণমানুষের নেতা সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি, একাদিক বার ফেরিঘাটের চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য হুশিয়ারী দিলে স্থানীয় দালালরা বন্ধ হলেও বিআইডব্লিউটিসির কর্মকতা কর্মচারীরা বন্ধ হয়নি।
ভোলা লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাটে গাড়ি পারাপারে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও বাড়তি ভাড়া আদায় করছে, ফেরি দিয়ে পারাপার হওয়া যানবাহনগুলো থেকে। তবে অন্য কেউ নয় বিআইডব্লিউটিসি এর কর্মকর্তারাই সরাসরি জড়িত এই চাঁদাবাজির সাথে। এমনই অভিযোগে এই প্রতিবেদক বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেরি ঘাটে গিয়ে পারাপার হওয়া যানবাহন চালকদের সাথে কথা বললে, বেড়িয়ে আসে বিআইডব্লিউটিসির দায়িত্বে থাকা কর্মকতা কর্মচারীদের আসল রুপ।
চালক ফারুক বলেন, আমার গাড়ীর ভাড়া ১৩হাজার ৮শ টাকা ৬ গাড়ী বুকিং কিন্তু ইলিশা ফেরিঘাটের টিকেট কাউন্টারের হারুন দাবী করছেন ২০ হাজার টাকা, আর না দিলে গাড়ী ফেরিতে উঠতে দিবে না বলছে, এসময় আরেক চালক নোমান বলেন, বিআইডব্লিউটিসির হারুন বলেন এখন করোনায় মার্কেট খারাপ ভাড়া এমনই দিতে হবে।
হাছান নামের এক চালক বলেন, আমার টিকেটে লেখা ২৩শ টাকা কিন্তু ভাড়া নিয়েছে ২৫শ টাকা, কামাল হোসেন বলেন, ২৩শ টাকার ভাড়া নিয়েছে ৩ হাজার টাকা ভাই কি আর বলবো আমরা? বিআইডব্লিউটিসির লোকের মনমত ভাড়া না দিলে পরের গাড়ী আগে আর আগের গাড়ী পরে দিয়ে দিবে।
ইলিশাঘাটে অপেক্ষামান চালকরা বলেন, চাঁদাবাজির কথা ঘাটের অন্য লোকদের কিন্তু সেখানে সরাসরি চাঁদাবাজি করছেন সরকারী কর্মকতা কর্মচারীরা।
অভিযোগ রয়েছে কাচামালের গাড়ী থেকে আলাদা ভাবে বকশিস নিতেন এই হারুন, আর ইলিশা ফেরিঘাটের চাঁদাবাজির সাথে সরাসরি জড়িত বিআইডব্লিউটিসির দায়িত্বরত এমরান হোসেন।
ইলিশা সমাজ কল্যাণ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন রাজু বলেন, ভোলার গণমানুষের নেতা তোফায়েল আহমেদ এমপি মহোদয় চাঁদাবাজি বন্ধের কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন কিন্তু সেই কথায় পাত্তা না দিয়ে হারুন কে দিয়ে চাঁদাবাজি করছেন এমরান হোসেন, কোথায় তার ক্ষমতার উৎস? নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে ইলিশা ঘাটের একজন বলেন এমরান সাহেব নাকি নৌ মন্ত্রণালয়ের কোন বড় কর্মকতার আত্মীয় তাই তিনি ভোলার কারো কথা পাত্তা না দিয়ে, হারুন কে দিয়ে চাঁদাবাজি করছেন।
ইলিশাঘাট ইজারদার সরোয়ার্দী মাষ্টার বলেন করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে ঘাটে আমাদের কোন কার্যক্রম নাই, যদি কেউ চাঁদাবাজি করে প্রশাসন কে অনুরোধ করবো তাদের আটক করে ইলিশা ফেরিঘাট কে চাঁদাবাজ মুক্ত করতে।
ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাছনাইন আহমেদ হাছান মিয়া বলেন, জননেতা তোফায়েল আহমেদ এমপি মহোদয় ভোলা লক্ষ্মীপুর ফেরি ঘাটের চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ কে নির্দেশ দিয়েছেন এবং পুলিশ কয়েকজন কে আটকের পর এখন আর সেই চাঁদাবাজি নেই কিন্তু নতুন করে বিআইডব্লিউটিসির লোক যদি নেতার কথা অমান্য করে চাঁদাবাজি করে তাহলে আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার নেতার নির্দেশ অনুযারী চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য সংশিষ্ট সকলের দৃষ্টি আর্কষন করবো।
তবে অভিযুক্ত বিআইডব্লিউটিসির হারুন বলেন, ভাই আপনি আসেন কথা বলি, আবার বলেন আমি ড্রাইভারদের বুঝাতে চেয়েছি ভাই তবে বেশি টাকা নেয়নি।
বিআইডব্লিউটিসির ইলিশা ফেরিঘাটের দায়িত্বরত এমরান হোসেন বলেন, ১৩ হাজার ৮শ টাকার ভাড়া ২০ হাজার চাইবে কেনো? আমি এখনই জিজ্ঞেস করবো।