সর্বশেষঃ

ভোলায় ২ সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিক দেবরের হাত ধরে ভাবি উধাও

পরকিয়া প্রেমিক রাকিব

ভোলায় দেবরের হাত ধরে ২ সন্তানের জননী উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের সদুর চর গ্রামে (৪ মে) সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

উধাও হওয়া জননী ওই গ্রামের আখন বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে জুলহাসের স্ত্রী পলি বেগম বলে জানা গেছে। তাদের দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। অভিযুক্ত পরকীয়া প্রেমিক একই বাড়ির আব্দুল হাইয়ের ছেলে মো. রাকিব (অবিবাহিত)। রাকিব জুলহাসের সম্পর্কে ফুফাতো ভাই হয় বলে জানা গেছে।

ঘটনার পর জুলহাস ওইদিন রাতেই ভোলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করুন।

লিখিত অভিযোগ ও সূত্র মতে জানা যায়, প্রায় ১৪ বছর আগে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক জুলহাস পলি তাদের দাম্পত্য জীবনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তাদের দুইটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। দুই বছর ধরে দেবর রাকিবের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী পলি। যার ফলে স্থানীয়ভাবে তাদেরকে নিয়ে একাধিকবার বিচারও হয়েছে। সবশেষ গত (৪ মে) সোমবার সন্ধ্যার দিকে জুলহাসের হাত ধরে পালিয়ে যান পলি বেগম। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জুলহাস জানতে পারেন তার স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিক রাকিবের হাত ধরে কোলে থাকা ৩ বছরের ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে জুলহাস ভোলা থানার দারস্থ হয়ে রাতেই একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনা দামাচাপা দিতে জুলহাসকে ফাঁসাতে বুধবার মধ্যরাতে রাকিব তার ভাই মাকসুদ রাসেল ও বাবা আবদুল হাই তাদের নিজ বসতিস্থল কুপিয়ে জুলহাস ও তার বাবাকে ফাঁসাতে চেষ্টা চালান। পরে রাতেই ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়।

অভিযুক্ত রাকিবের পাশ্ববর্তী হোসনারা বেগম নামে তার এক মামানি জানান, রাতেই রাকিব তার ভাই মাকসুদ রাসেল ও তার বাবা আব্দুল হাই জুলহাস ও তার বাবা (জুলহাসের) আবুল কাশেমকে ফাঁসাতে তাদের নিজ বসতিস্থল তারা কোপাতে থাকেন। পরে অন্যান্য পাশ্ববর্তী বাড়ির লোকজন তা দেখতে পান।

এবিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. এনায়েত হোসেন জানান, পলি বেগম ও রাকিব ও তার (রাকিবের) পরিবারের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন জুলহাস। এর কিছুক্ষণ পর পলি বেগমও থানায় এসে জুলহাসের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন। সবশেষ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জুলহাসকে ফাঁসাতে রাকিব ও তার পরিবার তাদের নিজ বসতিস্থল নিজেরাই কুপিয়েছে এমন একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে জুলহাস।

ওসি আরও জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।