লকডাউন উপেক্ষা করে রোগী সেজে অ্যাম্বুলেন্স করে নারায়নগঞ্জ থেকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় আসা করোনায় আক্রান্ত একই পরিবারের সেই পাচঁজনই সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন কালাইয়া ইদ্রিশ মোল্লা ডিগ্রী কলেজ থেকে পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছাড়পত্র দেন। পরে এক অনারম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই করোনা জয়ীদের ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিতি ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা, সহকারী কমিশনার ভুমি আনিচুর রহমান বালি, সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল (বাউফল) ফারুক হোসেন, ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. জাকির হোসেন, কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল আহম্মেদ মনির হোসেন মোল্লা প্রমুখ।
করোনা জয়ীরা হলেন আজিমন বিবি (৮০) হাওয়া বিবি (৫০) হনুফা বিবি (৪০) ফারজানা আক্তার (১৪) ও সিদ্দিকুর রহমান (২২)। এরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, একই পরিবারের এই পাঁচ জনের নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে। তার মানে তারা করেনা ভাইরাসের মতন একটি মরণ ব্যাধিকে জয়ী করে পুরোপুরি সুস্থ্য।
উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল সোমবার নারায়নগঞ্জ থেকে অ্যাস্বুলেন্স করে রোগী সেজে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নে আসেন। একপর্যায়ে তাদেরকে উপজেলার ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রী কলেজের শ্রেণিকক্ষে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে নমুনা আইইডিসিয়ারে পাঠালে তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়। এরপর তাদের ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রী কলেজে প্রতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বাউফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ জন। এদের মধ্যে ৫ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরলো, বগা ডা. ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রী কলেজে প্রতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ৪ জন, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে একজন, বিলবিলাস একজন। তবে কালিশুরী ইউনিয়নের হালিম বক্স (৫০) নামের এক ব্যক্তির আইসোলেশনে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন উপজেলাবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
সূত্র- সময়ের কণ্ঠস্বর