সফলতার সাথে টানা তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা
ভোলা সদর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বাপ্তা ইউনিয়ন পরিষদ। এই ইউনিয়ন পরিষদটি ভোলার অন্য সব ইউনিয়ন থেকে কিছুটা বড় হওয়ায় এখানে প্রায় চল্লিশ হাজার লোকের বসবাস। এখানকার প্রতিটি ইউনিয়নের বেশ সুনাম থাকলেও বিশেষ করে বাপ্তা ইউনিয়নটি একটি উল্লেখযোগ্য। যার অনেকটা সুনামও রয়েছে অন্যান্য সকল ইউনিয়নের জনগণের কাছে। আর এই সুনামটি অর্জিত হয়েছে টানা তৃতীয় মেয়াদে বাপ্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনগণের অত্যন্ত কাছের বিপদ-আপদের বন্ধু, সততা ও সুনামের সাথে দীর্ঘ ১৪ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা বর্তমান ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাপ্তার স্বনামধন্য চেয়ারম্যান মোঃ ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লার জন্য। তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে কি দিনে, কি রাতে সব সময় এই ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে ছায়ায় মত পাশে থেকে এখনো সততা ও বেশ সুনামের সাথে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
যে বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য, আবার যে বিধবা ভাতা পাওয়ার যোগ্য এবং যে, রিলিফ পাওয়ার যোগ্য, অর্থাৎ সরকারি যত সুযোগ সুবিধা তা তিনি মুখ দেখে না দিয়ে সকলকে সমানে দিয়ে যাচ্ছেন, এবং প্রতিটি বিচার আচার ও তিনি বেশ সততার সাথে ন্যায়ভাবে সমাধান করেন বলে তার বেশ সুনাম ও পরিচিতি ইতোমধ্যে এই পুরো ইউনিয়ন তথা ভোলার আনাচে কানাচে বিরাজ করেছে। তার বাবা মরহুম জনাব আবুল ফারা চৌদুরী মোল্লা ছিলেন স্বাধীনতা যুদ্বের একজন অকুতভয়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন এই বাংলাদেশ। বাঙ্গালী জাতি পেরেছে মাথা উচু করে দাঁড়াতে।
শুধু তাই নয় তিনি ছিলেন বাপ্তা ইউনিয়নের পাঁচ বারের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান। যিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই বাপ্তা ইউনিয়নের জনগণের দীর্ঘ ২৫ বছর ছায়ার মত পাশে থেকে কি দিনে কি রাতে সব সময় তাদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগীতা করেছেন বলে বাবার সেই আর্দশে বলীয়ান হয়ে বিপ্লব মোল্লাও বাবার সেই ঐতিহ্য সফলতার সাথে ধরে রেখেছেন, এবং এখনও পর্যন্ত বাপ্তা ইউনিয়নের তথা ভোলা জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানের উপাধি পেতে সক্ষম হয়েছেন।
বর্তমানে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে করোনা ভাইরাসের মহামারিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চেয়ারম্যান, মেম্বার, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদের নামে যেভাবে দূর্নীতি ও চাল চুরির অভিযোগ শোনা যায়, সেই জায়গায় তিনি সরকারের সকল ত্রাণ তার নিজ হাতে সকল মেম্বারদের মাঝে সঠিক ভাবে বন্টণ করে দিয়ে দলমত নির্বিশেষে সকল গরীব, এতিম, অসহায়, দুস্থ্যদের মাঝে সঠিক ভাবে বন্টণ করে দেওয়ার জন্য মেম্বারদেরকে আহব্বান জানান। আবার মেম্বাররা তা সঠিক ভাবে বিতরণ করল কিনা গোপনে তারও খোঁজ খবর নেন।
শুধু তাই নয়, এই মহামারীতে তিনি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে প্রথম ধাপে (৭০০) পরিবারের মাঝে ১০ কেজি চাল, ও ৫ কেজি আলু, দ্বিতীয় ধাপে (১০০০) পরিবারের মাঝে ২ কেজি চিড়া, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি ছোলা, ১ কেজি পেয়াইজ, ৪ কেজি আলু, বিতরণ করেণ। তৃতীয় ধাপে আবার ১৫০জন মসজিদের ঈমাম ও মুয়াজিমদের মাঝে ৩ কেজি ছোলা, ৩ কেজি ডাল, ৫ কেজি আলু সহ রমজানের একটি প্যাকেজ দেন।
সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎকার কালে তিনি বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সরকারকে সকল বিত্তবানরা সাহায্য করে দেশের এই মহামারি দূর্যোগের হাত থেকে গরীব, এতিম, দুস্থ্য অসহায়দেও রক্ষা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই আমাদের বাংলাদেশ এই মহামারি থেকে আল্লাহ রক্ষা পেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সরকার দলীয় যাদের ৫ কোটি টাকা আছে তারা আর না হলেও পাঁচ লক্ষ, যার দশকোটি আছে সে দশ লক্ষ, যার বিশ কোটি আছে সে বিশ লক্ষ, যার ৪০ কোটি আছে সে ৪০ লক্ষ এমনি ভাবে সামাজের সকল বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসে তাহলে আমাদের সরকারের এত কষ্ট করতে হবেনা। তাই আমি আশা করি দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সকল বিত্তবানরা দেশের সহযোগীতায় এগিয়ে আসবে।
তবে আর একটি কথা না বললেই নয়, আমার জন্ম এই চৌদুরী পরিবারে না হয়ে যদি একটা দিন মজুরের ঘরে হতো তাহলে হয়তো আমিও মানুষের এই কষ্টের সময় সাহায্য করতে পারতাম না। বিধাতার কাছে আমার হাজারÑহাজার শুকরিয়া যে, বিধাতা আমাকে চৌদুরী পরিবারে জন্ম দিয়েছে। আমাকে তো বিধাতা দিন মজুরের ঘরেও পাঠাতে পারত। তাছাড়া দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যারা এতিম ও অসহায়দের মাল চুরি করে খাবে সয়ং আল্লাহপাক অতি শিগ্রহী তাদের উপর গজব নাজিল করবে। আল্লাহ আমাকে জীবনে যেন এই হারাম না খাওয়ায়। এতিমদের এই হারাম খাওয়ার জন্য আল্লাহ আমাকে চেয়ারম্যান বানায়নি। আমার বাবা দীর্ঘ ২৫ বছর এই বাপ্তা ইউনিয়নে চেয়ারম্যানি করে গেছেন, তিনি আমাকে শিখিয়ে গেছেন জীবনে মানব সেবা পরম সেবা এবং বড় মহৎ কাজ। চুরি, মিথ্যা, প্রতারণা মানুষ ঠকানো কোন সভ্য মানুষের আচরণ হতে পারে না। ওরা পশু জানোয়ারের চেয়েও খারাপ। আল্লাহ আমাকে সামর্থ দিয়েছে দোয়া করবেন আমি যেন মরণ পযর্ন্ত দিন-রাত আমার এই ইউনিয়নের জনগণের পাশে থেকে আমরণ আমার বাবার মত এভাবেই তাদের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতে পারি।
বিপ্লব চেয়ারম্যান বলেন, জনগণ হল আমার প্রাণ, ওনাদের জন্য আল্লাহ আমাকে এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বানিয়েছে। তাই ওনাদের সুখ আমার সুখ, ওনাদের দুঃখতো আমারই দুঃখ। আমার বিগত বছরগুলোতে আমি মনে হয় কিছুটা হলেও চেষ্টা করেছি আমার বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে, এবং বাবার দেখা সেই স্বপ্ন কিছুটা হলেও পূরণ করতে। আর তারই ধারাবাহিকতায় আমার বাকী সময়টাও যেন এই পুরো বাপ্তা ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের খেদমত করে বাবার দেখা শেষ স্বপ্নটার বাকীটুকু পূরণ করতে পারি।