ভোলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন নবীন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গত ২ মে দৈনিক আজকের ভোলা পত্রিকায় ” মনপুরায় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সমর্থকদের উপরে সাবেক চেয়ারম্যানের হামলা, আহত ১০ আটক ৫ ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। চাল বিতরনে অনিয়মের কারণে বহিস্কৃত মনপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানতল্লাহ আলমগীর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সাংবাদিকদের ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ বিভ্রান্ত সৃষ্টি করেছে। আলমগীরের মাছের গদির ম্যানেজার সোহাগকে আমি বা আমার অনুসারি কেউ হামলা করেনি এবং টাকা ও স্বর্ণালংকার নেয়ার বিষয়টিও সম্পূর্ন মিথ্যা। সোহাগের আহত হওয়ার ঘটনাটি আলমগীর চেয়্যারমানের লোকদের অভ্যন্তরীন কোন্দল।
বরং চাল চুরির তদন্তে সাক্ষীদের সহায়তার অভিযোগ এনে গত ১লা মে রামনেওয়াজ বাজারে আলমগীর চেয়্যারমানের নেতৃত্বে তার ভাই মিজান ও সাহাবুদ্দিন এবং তার অনুসারী সালাম, আতিক, নাহিদ,গিয়াসউদ্দিন, এনায়েত, হেলাল, মূছা সহ আরো ১০-১৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মনপুরা উপজেলা পূজা উযযাপন পরিষদের সহসভাপতি এবং মনপুরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়াড আওয়ামীলীগ এর সভাপতি গোপাল দাস কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। গোপালকে বাচাতে এগিয়ে আসলে সৈকত, সাত্তার ও মনপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাবেক সভাপতি লোকমান হাওলাদার কে ও পিটিয়ে আহত করে। সৈকত, সাত্তার ও লোকমান হাওলাদার প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গেলেও গোপাল দাসকে প্রথমে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে হামলা করেও ক্ষান্ত থাকেনি প্রভাবশালী আলমগীর। গত ২ মে মনপুরা থানায় সোহাগকে দিয়ে একটি মিথ্যা মামলা করে যার নং ১/৩৪। যে মামলায় আমাকে ১ নং আসামী ও হামলায় আহত গোপাল দাসকে ও ৯ নাম্বার আসামী করা হয়। গোপাল দাস নিজে আহত হয়ে ও বিচারের আশায় মনপুরা থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার চেস্টা করে কিন্তু আলমগীর চেয়্যারমানের প্রভাবের কারনে থানা মামলা গ্রহন করে নি।
আমি সোহাগের উপর হামলার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত না তাই উক্ত প্রকাশিত সংবাদের আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
আলাউদ্দিন হাওলাদার
সাবেক চেয়্যারমান, মনপুরা ইউনিয়ন পরিষদ