করোনায় ভিক্ষা করা বন্ধ, খবর নেয়নি জনপ্রতিনিধিরা
ভিক্ষুক সাফিয়া খাতুন। ছবি ভোলার বাণী
একবার কেউ আমার খোঁজও নিলনা। না খেয়ে কেটে গেছে অনেক দিন। দেশের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ভিক্ষা করতে বের হতে পারছিনা। তার মধ্যে এসে পড়ল রোজা। এখন রোজা থাকি আর আল্লাহ পাকের দিকে তাকিয়ে থাকি এছাড়া আর কোন উপায় নেই আমার। হেলাল মেম্বারের কাছে বহুত গেছি। দেয়না কিছুই। তাই এখন আর যাইনা।
সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে অশ্রুসিক্ত চোখে এমনই কথা বলছিলেন ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ০৯নং ওয়ার্ডের নূর জাহান বক্তা বাড়ির অসহায় স্বামীহীন শাফিয়া খাতুন। স্বামী মজিবল হাওলাদারের মৃত্যুর ৩০ বছর পর্যন্তু এভাবেই কাটে তার জীবন।
মেয়ে নেই। দুই ছেলে রয়েছে। তারাও এখন কর্মের জোগানে রয়েছে ব্যস্ততম শহর ঢাকায়। মাঝে মাঝে পাশের বাড়ির লোকদের মুঠোফোনে কল দিয়ে খোঁজ নেয়। এছাড়া আর কিছুই করার নেই ছেলেদের। যা আয় করে। তা তাদের পরিবারের ই হয়না। তাই মায়ের দিকে তেমন একটা খেয়াল রাখছেন না।
শাফিয়া খাতুনের কথা বলেছিলেন, স্থানীয় আরও কয়েকজন। তাদের মধ্যে এক বয়স্ক নারীও শাফিয়া খাতুনের কথা বলতে গিয়ে কেঁদেছিলেন অঝোর অশ্রুতে।