মনপুরায় সাবেক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান গ্রুপের সংঘর্ষ ॥ আহত-১০ ॥ আটক-৫
ভোলার মনপুরায় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আমানতউল্লাহ আলমগীর ও সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন মনপুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি। অপর আহতরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস ও ওসি সাখাওয়াত হোসেনের নের্তৃত্বে পুলিশ রামনেওয়াজ বাজারে অবস্থান নেয়। এ সময় মাইকিং করে উভয় গ্রুপকে শান্ত থাকতে ও সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়। শুক্রবার রাত ১১ টায় উপজেলার ১ নং মনপুরা ইউনিয়নের রামনেওয়াজ বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে ফের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হলেন, ইউনিয়ন যুবলীগের সাংঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের গদির কেরানি আশরাফুল ইসলাম সোহাগ, অপর দুই জন সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন গ্রুপের গোপাল ও সৈকত। এদের সবার বাড়ি উপজেলার ১ নং মনপুরা ইউনিয়নে। অপর আহত সাতজনের নাম পাওয়া যায়নি।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, সরকারি চাল বিতরণে সঠিকভাকে নিয়ম নীতি অনুসরণ না করায় সাময়িক বহিস্কৃত হন মনপুরা ইউপি চেয়ারম্যান আমানাতউল্লাহ আলমগীর। শুক্রবার রাতে এমন সংবাদ পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করতে থাকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন গ্রুপ। এই সময় আলমগীর সমর্থিত ইউনিয়ন যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাপুল ইসলাম সোহাগ বাড়ি যাওয়ার সময় পথে একা পেয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। এমন খবরে রাতেই আলমগীর সমর্থিত নারী-পুরুষরা বাজার মুখি হলে উভয় গ্রপে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ।
বর্তমান চেয়ারম্যান আমানত উল্লা আলমগীর অভিযোগ করেন, মাছের গদির কেরানি ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরশাফুল ইসলাম সোহাগকে আলাউদ্দিন হাওলাদার তার বাড়ির সামনে কুপিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে গ্রামবাসি একত্রিত হয়ে রামনেওয়াজ বাজারে আসলে ফের আলাউদ্দিন তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আক্রমন করে। এতে ১৫-২০ জন গ্রামবাসি আহত হয়। তবে তিনি সবার নাম জানে না।
অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদারের মুঠোফোন (০১৭৫৭৩২৮৩৮১) জানান, আমার সাথে তার কিছুই হয়নি। এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ নেই।
এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, দুই চেয়ারম্যান সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে। রামনেওয়াজ বাজারে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।