সরকারি নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন শংকা নিয়ে মেঘনায় ইলিশ শিকারে প্রস্তুত উপকূলের ২০ হাজার জেলে
বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন। রাত ১২ টার পর শংকা নিয়ে মেঘনায় ইলিশ শিকারের প্রস্তুতি নিয়েছেন মনপুরা উপকূলের ২০ হাজার জেলে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে নদীতে ইলিশ শিকারে যেতে পারবে কিনা সেই শংকাও বিরাজ করছে জেলেদের মধ্যে। এদিকে জেলেদের শিকার করা ইলিশ কিভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছাবে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগকারী মৎস্য আড়তদাররা। তবে মেঘনায় মাছ শিকারের কোন সরকারি বাঁধা নেই ও উৎপাদিত ইলিশ পরিবহন শিথিলযোগ্য বলে জানান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম। এই উপকূলে ১৩ হাজার ৯ শত চারজন জেলে নিবন্ধন হলেও প্রকত জেলের সংখা ২০ হাজারের উপরে বলে জানান জেলে সমিতির নেতারা।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, মার্চ-এপ্রিল ভোলার ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনায় ইলিশের অভায়াশ্রম ঘোষনা করে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা জারী করে সরকার। তবে এই সময় জেলেদের ৪০ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল দেওয়া হয়।
ইলিশ জেলে কামরুল মাঝি, হানিফ মাঝি, আজাদ মাঝি, কামাল মাঝি, সজল মাঝি, ইব্রাহীম মাঝি, জাহাঙ্গীর মাঝি ও জহির মাঝি সহ অর্ধশতাধিক জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞার কারনে গত দুই মাস মাছ শিকারের যেতে পারেনি। পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাইছি। সরকারি সাহায্য সবার কপালে জোটেনি। হুনছি করোনার কারনে মাছ ধরতে দিবো না। মাছ না ধরতে পারলে না খাইয়া মারা যামু।
মৎস্য আড়তদাররা জানান, করোনার কারনে লঞ্চ বন্ধ । জেলেদের ইলিশ কিভাবে ঢাকা পাঠামু বোঝতে পারছিনা। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করছি। মাছ না পাঠাতে পারলে লোকসানে পড়ে যাবো।
এই ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তারেকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার পর থেকে জেলেরা মেঘনায় ইলিশ শিকার করতে পারবে। ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা নেই। পরিবহন করতে পারবে নিজ উদ্যোগে।