নিষেধাজ্ঞা শেষ, ইলিশ শিকারে জেলেদের প্রস্তুতি
ভোলার দৌলতখানে ইলিশ শিকারে প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলেরা। আজ মধ্যরাত থেকে ট্রলারের ইঞ্জিনের শব্দ আর জনস্রোতে মিলে যাবে ভোলার দৌলতখানের মেঘনা।
মাছ ধরার মহোৎসবে মেতে উঠবেন দৌলতখানের জেলেরা। জীবন বাজি রেখে দেশের অর্থনীতিতে যোগান দেবে দৌলতখানের কয়েক হাজার জেলে।
ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১২টায়। দীর্ঘ ২-মাস অলস সময় কাটিয়ে আবার ব্যস্ত হয়ে পড়বে উপকূলের জেলেরা।
রাত পোহানোর পরই শুরু হবে ইলিশ ধরার মহোৎসব। মধ্য রাত থেকে ভোলার দৌলতখানের বিভিন্ন ঘাট থেকে মাছ শিকারের উদ্দেশে মেঘনায় যাত্রা শুরু করবে হাজার হাজার জেলে।
দৌলতখানের বিভিন্ন মৎস্যঘাট “জেলে পল্লী গিয়ে দেখা যায়, জেলেদের মধ্যে লেগে গেছে মহাব্যস্ততা। বাজারসহ আনুসঙ্গিক কাজ সম্পন্ন শেষ, মধ্যরাত হলেই তারা ট্রলারে বরফ ভরে নদীতে যাত্রা শুরু করবে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞার শেষ দিনেই নদীতে যাওয়ার জন্য নিজ নিজ ট্রলারে জাল উঠাচ্ছেন,
বাজার করে ট্রলারের নির্ধারিত জায়গায় সংরক্ষণ করছেন। আবার কেউ কেউ দৌলতখান পৌর শহরের পাইকারি মুদি দোকানে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
দৌলতখান সৈদয়দপুর ইউনিয়ন এর ট্রলারের মাঝি রুবেল বলেন, ১০ দিনের বাজার করা হয়েছে। রাত ১২টার পরই মেঘনার নামায় ঘাটে ট্রলার নিয়ে যাবো। মধ্যরাতে বরফ ভরেই জোয়ারেই ট্রলার ছাড়বো। উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাছনাইন বলেন, আজ মধ্য রাত থেকে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। ভোলার দৌলতখানের বেশিরভাগ জেলে নিষিদ্ধ সময়ে নৌকা ও জাল মেরামতে ব্যস্ত ছিলেন । আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই এবং মহাজনসহ জেলেদের আন্তরিক সহযোগীতায় এবারের অবরোধ সফল হয়েছে।