নিষেধাজ্ঞার দুই মাস শেষে ভোলার মেঘনায় মাছ ধরা শুরু
ইলিশের প্রজনন মৌসুম হিসেবে মার্চ এপ্রিল দুই মাস মেঘনা-তেতুলিয়ার ২৯০ কিঃমিঃ নদীতে সকল প্রকার মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। নিষেধাজ্ঞা শেষে ১লা মে শুক্রবার থেকে মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকারে নামবে তজুমদ্দিন উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার জেলে। দীর্ঘ বিরতির পর মাছ ধরতে এরইমধ্যে জাল, নৌকা মেরামতসহ সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলেরা। মাছ ধরা শুরু হলে জেলে মৎস্য ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় ফের জমজমাট হয়ে উঠবে এ উপজেলার প্রায় ৮-১০টি মৎস্য ঘাট।
সরেজমিন ঘুরে জেলেদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, দুই মাস নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার পর আজ থেকে নদীতে মাছ শিকারে যাচ্ছেন তারা। নিষেধাজ্ঞার এসময়ে তারা নৌকা জাল মেরামত করে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। বিকল্প কোন কর্মসংস্থান না থাকায় গত দুই মাস ধরে ধারদেনা করে চলছে তাদের সংসার। নদীতে মাছ ধরা পড়লে দেনা পরিশোদ করে পরিবার পরিজন নিয়ে সামনের দিনগুলো ভালো থাকবে এমন আশা করছে তারা।
তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, এ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে প্রায় ১৮ হাজার ৫২০ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে থেকে ৭ হাজার ৫শ ৫৫ জেলের নামে পুনর্বাসনের চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। যেহেতু জেলের সংখ্যা অনেক বেশি তাই সরকারিভাবে যে পরিমান বরাদ্দ পাওয়া গেছে তাতে অর্ধেকের চেয়ে বেশি জেলে সরকারি এ সুবিদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জেলেদের সংখ্যা বিবেচনা করে বরাদ্দের পরিমান বাড়নো উচিত। এছাড়া ১লা মে থেকে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে পারবে তবে ৩০ জুন পর্যন্ত কোন জাটকা ইলিশ ধরা যাবে না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রাসেদ খান বলেন, ফেব্রুয়ারী থেকে মে পর্যন্ত ৪ মাস জেলেদের বিশেষ ভিজিএফের আওতায় এ উপজেলায় প্রায় ১২শ মেঃ টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ৭ হাজার ৫শ ৫৫জন জেলকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসের চাল দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের আরো এক মাসের চাল বিতরণের জন্য ডিও দেওয়া হয়েছে। শিঘ্রই এক মাসের চাল বিতরণ করবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, নিবন্ধিত সমসংখ্যক জেলের বিপরিতে পুনর্বাসনের বরাদ্ধ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।