চরফ্যাশন ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজে বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ
জীবন বাজি রেখে চাকরি বাঁচাতে ভোলায় শ্রমিকদের আহাজারি
দেশের পোশাক শিল্প কারখানা খুলে দেওয়ায় কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ভোলা ইলিশা ফেরিঘাটে শ্রমিকদের উপছে পড়া ভিড়। করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ রাখা শিল্প-কারখানা পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিলে ভোলা জেলার বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকরা কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ইলিশা ফেরিঘাট এসে জড়ো হয়। কিন্তু যাওয়ার জন্য লঞ্চ কিংবা ফেরিতে যেতে না পেরে ইলিশা ঘাটে যাওয়ার অপেক্ষায় অবস্থান নিচ্ছে এসব শ্রমিকরা।অবস্থান নেয়া শ্রমিক দের আহাজারি ছিল হৃদয় বিদারক আমাদের যেতে দিন নাহয় খেতে দিন আমরা ক্ষুধা নিবারনের নিমিত্তে চাকরি বাঁচাতে জীবনের মায়া ত্যাগ করে আজ যাত্রা করেছি এমনটি বলেন একাধিক শ্রমিক , তারা বলেন করোনা ভাইরাসের কারণে শিল্পকারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত দুইদিন থেকে মোবাইল ফোনে আবারো শিল্প কারখানা চালুর ঘোষিত বার্তা দিচ্ছেন মালিক পক্ষের কর্মকর্তাগন । এ যেন জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকার লড়াই করছেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা বলেন আমরা রোহিঙ্গা কিংবা ভিন্ন কোন দেশের অধিবাসি না আমরা এদেশের শ্রমিক, নাগরিক প্রজা নই কেন আমাদের নিয়ে পুতুল খেলা হচ্ছে। এ খেলা সরকার খেলেনি খেলেছে পোশাক শিল্পমালিকেরা। আমরা সাহায্য চাইনা কর্মচাই সেজন্য আমরা কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ইলিশা ঘাটে এসেছি। কিন্তু সকল প্রকার নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় আমরা কর্মস্থলে যেতে পারছিনা। এখন সরকার কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি আমাদেরকে কর্মস্থলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে না দেয় তাহলে আমরা খুবই বিপদে পরবো। অপর দিকে কোম্পানির সময় মত যদি আমরা কর্মস্থলে যেতে না পারি তাহলে আমাদের চাকরিতে যোগদানের ভোগান্তি পোহাতে হবে আমাদের কষ্টের শেষ কোথায়। শ্রমিকদের দাবি হয়তো আমাদের যেতে দেয়া হোক না হয় পোশাক শিল্প মালিকদের নতুন প্রজ্ঞাপন জারী করে আমাদের যোগদানের সময় বাড়িয়ে দেয়াই আমাদের দাবি।
জড়ো হওয়া যাত্রিদের উদ্দেশ্যে কোস্টাগার্ড, নৌ বাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা সুরক্ষিত থাকতে স্থান ত্যাগ না করা ও ঘরে থাকার আহবান করে ফিরে যাবার অনুরোধ করেন।এসময জড়ো হওয়া যাত্রিদের উদ্দেশ্যে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট আবু সায়েম পোশাক শ্রমিকদের বলেন আপনারা ফিরে যান, দেশওদেশের জনসাধারণ সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকলে চাকরি কর্ম থাকবে কর্ম হারাবার ভয় নেই।