লালমোহনের বেতুয়া খালে অবৈধ বের জাল বসিয়ে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি: দুর্ভোগে দু’ কূলের শতশত পরিবার

ভোলার লালমোহনের বেতুয়ার খালে (সাবেক বেতুয়া নদী) অবৈধ বিহন্দি জাল, বের জাল ও খুছি জাল বসিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি, এবং এতিহ্যবাহী এ বেতুয়ার খালের রমাগঞ্জে ও ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী হাফিজ উদ্দীন বাজার থেকে উত্তর দিকে আজাহার রোড ও চতলা বাজার ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক অবৈধ জাল দিয়ে দখল করে আছে এ খালটি। দীর্ঘদিবছর ধরে অবৈধ দখলের কারনে কিছু অসাধু সার্থন্বেশী ব্যক্তি এ খালে মাছ স্বীকার করে তাদের ক্ষমতার দাম্ভিকতায় একক সার্থ হাসিল করে যাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে যানাযায়, এ খাল দিয়ে এক সময় লঞ্চ, স্টিমার, বোর্ট, ট্রলার ও গহনা যাতায়াত করত, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাবসায়ীরা তাদের সকল ধরনের মালামাল এ বেতুয়া খাল (সাবেক নদী) দিয়ে আনা নেওয়া করত কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অবৈধ জালের কারনে জোয়ার ভাটার পানি চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি হওয়ায় ভাসমান কচুরিপানাগুলো চলাচল না করতে পারায় এখন গজিয়ে ওঠে স্থায়ীভাবে আবাদ হয়ে উঠছে বেতুয়া খালে, কিছু স্থানে কচুরিপানা মারা গিয়ে পঁচে জলাবদ্ধকৃত পানি এখন দুর্গন্ধময় হয়ে দু কুলের বসবাসরত জনসাধারণ বিভিন্ন রোগে ভূগতেছেন বাড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির মশা।
বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে মানুষ আতংকে রয়েছে এমনকি বেতুয়ার খালের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি, কচুরিপানা পঁচে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন রোগবালাই নিয়ে সংঙ্কিত দু কুলের বসবাসরত বাসিন্দারা। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে বেতুয়ার দু’ কূলের শত শত একর ফসলী জমি, ধানের বীজতলা এবং বসতি বাড়ী,বাগান, মাছের ঘের, পুকুর পানির নিচে তলিয়ে থাকে । আষাঢ় মাস হলো কৃষকের আমন ধানের বীজ বপনের পুরো সময় কিন্তু দীর্ঘ দিন যদি ভারী বর্ষন হয় তাহলে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, এবং মস্য চাষীদের লক্ষ লক্ষ টাকার চাষকৃত মাছের ক্ষতি হয়ে থাকে। বেতুয়ার খালের অবৈধ জালের কারনে জোয়ার -ভাঁটায় পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
সূত্রে জানায়, এ বেতুয়া খালের দু’কুলে হাজারো কৃষক বিভিন্ন প্রকার ধান চাষ,সবজি চাষ, রবি শষ্য সহ হরেক রকমের চাষাবাদ করে আসছে। এবং সরকার এ খালে প্রতি বছর উপজেলা মৎস্য অফিস কর্তৃক বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করে থাকেন , কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের চোখে বৃদ্ধাঙ্গুলী দিয়ে এ খালে অবৈধ জাল বসিয়ে ওই অবমুক্ত করা মাছের পোনা অবাধে নিধন করে যাচ্ছেন যা সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছেন। এবং কৃষক সহ বসবাসরত শত শত পরিবারের দাবী এ খালের জোয়ার ভাটার পানি অবৈধ জাল থাকার কারনে চলাচল করতে পারেনা। স্থানীয় সচেতন মহল ও এলাকাবাসীর দাবী কর্তৃপক্ষ যেন বেতুয়া খালের সকল প্রকার অবৈধ শত শত জাল অপসারনের ব্যাপারে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করেন।
এ ব্যাপারে রমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা মিয়া বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে বেতুয়ার খালের অবৈধ জালের ব্যাপারে অবগত করব।