শতাব্দীর মহানায়ক অনন্য মুজিব : পর্ব-১১

ড. তাইবুন নাজার রশীদ (কবিরত্ন),

(গত সংখ্যার পর), আমার স্বাী তখন দেওয়ানগঞ্জ (ময়মনসিংহ) সুপার মিলের জেনারেল ম্যানেজার। ওনি তখন ম্যাজিষ্ট্রেটের চাকরী থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। আমি তখন দেওয়ানগঞ্জ আপোয়ার প্রেসিডেন্ট। এই দেওয়ানগঞ্জ থেকে ৫জন মহিলা সহ আমি করাচীতে ডেলিগেট হয়ে গিয়ে হোটেল মেট্রোপোল এ ৭দিন ছিলাম। সমগ্র ইস্ট পাকিস্তান থেকে জেলা, মহকুমার আপোয়ার প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারী ও মেম্বারাও গিয়েছিল।

আজি আমি বাংলাদেশ মহিলা সমিতির একজন কার্যকরী সদস্য, বাংলাদেশে মহিলা সমিতির মঞ্চে দাড়িয়ে বক্তৃতা করার সুযোগও পাই। বাংলাদেশ মহিলা সমিতি আমাকে সমাজসেবার কাজের প্রশংসায় প্রসংশিত করে বেগম সম্পাদিকা নুরজাহান বেগমের সাথে একবার সংবর্ধনা দিয়েছিল।

১৯৬৮ সালে আমার স্বামী অবসর গ্রহণ করে ঢাকায় এলেন। আমার ছেলে বাসায় বেইলি রোডে থেকে আমি একটি ছোট খাট মহিলা সমিতি গঠন করে কাজের বুয়াদের ছেলেদের পড়াশুনার ভার গ্রহণ করি। ৩০ জন মহিলা মেম্বার সমিতিতে যোগদান করেছিল। গরীব, এতিম বাচ্চারা পড়াশুনার স্বাদ পেয়ে খুশিতে মেতে উঠল।

১৯৫১ সালে ইস্ট পাকিস্তান ওয়েষ্ট পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরাধীনতা শৃঙ্খল মুক্ত হাবার স্বাধীনতার স্বপ্নে জেগে উঠল। আন্দোলন প্রসেশন মিটিং চলল। শ্রমিক, মজুর, কৃষক, সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসল। বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, উপন্যাসিক এগিয়ে এল। তাদের দাবী ১২ আনা সম্পদ চলে যাচ্ছে ওয়েষ্ট পাকিস্তানে। ওরা আমাদের চুষে চুষে খাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু এলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের জয়ের পতাকা হাতে নিয়ে। সে পতাকা ছিল আমাদের আশা আকাঙ্খার দৃঢ় প্রত্যয়ের এক জলন্ত রক্ত লাশ স্বাধীনতার উজ্জল সূর্য শিখা। তার এক অঙ্গুলি হেলনে বাংলাদেশের লাখে লাখে লোক জেগে উঠল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিলেন কোটি কোটি জনতার উদ্দেশ্যে এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম, যার যা আছে তাই নিয়ে শক্রুর সাথে মেকাবিলা কর।

(চলবে————–)

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page