লালমোহনে নিষিদ্ধ সময়ে কোস্টগার্ডের মাঝির ছত্রছায়ায় মেঘনায় চলছে মাছ ধরা
ভোলার লালমোহন উপজেলার মেঘনা নদীতে অবাধে চলছে মাছ ধরা। গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা সরকারী ভাবে নিষিদ্ধ। এরই মধ্যে তজুমদ্দিন কোস্টগার্ডের মাঝির ছত্রছায়ায় চলছে অবাধে মাছ ধরা। জানা যায় তজুমদ্দিন কোস্টগার্ডের মাঝির আত্নীয় ধলীগৌরনগর কামারের খালের ছালাউদ্দিন মাঝি। এই ছালাউদ্দিন মাঝির নেতৃত্বে চাঁদা তুলে দিচ্ছেন কোস্টগার্ডের মাঝিকে। ছালাউদ্দিন মাঝিকে চাঁদা না দিয়ে নদীতে জাল ফেললে সে কোস্টগার্ডের মাঝির সহায়তায় জাল ধরিয়ে দেন। আর যারা চাঁদা দিয়ে মাছ ধরে তাদেরকে কোস্টগার্ড ধরে না বলে জানান এলাকার কয়েকজন জেলে। গত কয়েকদিন আগে রাতে চাঁদা না দিয়ে মাকছুদ মাঝি মাছ ধরতে যায়। ঐ রাতে কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে মাকছুদ মাঝির জাল নিয়ে যায়। মাকছুদ কোস্টগার্ডের মাঝিকে জালের জন্য ফোন করলে তিনি বলেন ছালাউদ্দিন মাঝির সাথে যোগাযোগ ছাড়া কেউ নদীতে নামতে পারবে না। আপনি ছালাউদ্দিন মাঝির সাথে যোগাযোগ ছাড়া কোন সাহসে নদীতে মাছ ধরতে নেমেছেন।
ঐ এলাকার মাকছুদ মাঝি, আব্বাস মাঝিসহ নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও কয়েকজন মাঝি জানান আমরা ছালাউদ্দিন মাঝিকে এই সময়ে মাছ ধরার জন্য ২ হাজার টাকা করে দিলে কোস্টগার্ড আসলে মাঝি আমাদেরকে জানিয়ে দেন। আমরা তখন সতর্ক হয়ে নদী থেকে চলে আসি।
এব্যাপরে অভিযুক্ত ছালাউদ্দিন মাঝিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ১জন থেকে টাকা নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন এবং ঐ টাকা বিকাশে কোস্টগার্ডের মাঝির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানান।
কোস্টগার্ডের মাঝি কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করার জন্য তার ব্যবহৃত ২ টি ০১৪০….৪৪৮, ০১৬৪….১৪৪ মোবাইলে রিং করলে বন্ধ থাকার কারনে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তজুমদ্দিন কোস্টগার্ডের সিসিকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন বিষয়টি আমাদের নলেজে এসেছে। আমরা কোথায় ডিউটিতে যাব কোন দিকে যাব সেটা কাউকে আগে বলি না। আমরা গিয়ে মাঝিকে বলি ষ্টার্ট দাও। তারপর যেদিকে যেতে বলি মাঝি আমাদেরকে সেদিকে নিয়ে যায়। তবুও যেহেতু আমাদেরকে জানিয়েছেন আমরা বিষয়টি খোজ নিব মাঝির সাথে কোন রকম সম্পর্ক আছে কিনা।
মেঘনা নদীতে নিষিদ্ধ সময়ে নিষিদ্ধ মশারী জাল দিয়ে জেলেরা মাছ ধরছে এ ব্যাপরে লালমোহন উপজেলা মৎস্য অফিসার শুদিপ্ত মিশ্র কে বললে তিনি বলেন রেগুলার অভিযান চলমান আছে। তবুও যেহেতু কামারের খালের এলাকায় মেঘনা নদীতে মাছ ধরা হচ্ছে বিষয়টি আমি দেখছি।