ভোলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন নবীন
চরফ্যাশনে ধর্ষণ মামলায় দেবর গ্রেপ্তার
চরফ্যাসনে বিয়ের প্রলোভনে বিধবা ভাবীকে ধর্ষণের অভিযোগে দেবর কামরুল ইসলাম নামের এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ভিক্টিম ভুক্তভুগী নারী বাদি হয়ে দেবরকে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় মামলটি দায়ের করেন। চরফ্যাসন থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে পুলিশ ওই রাতেই ধর্ষক স্কুল শিক্ষক কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে শনিবার আদালতে সোপর্দ করেছেন। ধর্ষক কামরুল ইসলাম ওমরাবাজ নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাদশা মিয়ার ছেলে। গত ১৮ এপ্রিল রাতে ভিক্টিম নারীর বসত ঘরে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভুগী নারী এজাহারে দাবি করেন, তিনি ও দেবর কমরুল একই বাড়িতে বসবাস করেন। তার স্বামী সাড়ে ৩ বছর পূর্বে মারা যান। স্বামী ও দেবর কামরুল ইসলাম একত্রে ধান ও চাউলের যৌথ ব্যবসা করতেন। ওই ব্যবসায় স্বামীর ৭ লাখ টাকা মূলধন ছিল। স্বামী মারা যাওয়ার পর দেবর কামরুল ইসলাম ওই টাকা দিয়ে দুইজনের যৌথ ব্যবসা পরিচালনা করতেন। এসময়ে দেবর কমরুল ইসলাম তাকে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ সস্পর্কের কু- প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে ভিক্টিম নারী রাজি না হলে যৌথ ব্যবসার অংশিদারী স্বামীর টাকা দিবেনা বলে হুমকি দেন । পরে ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ গড়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ের আশ্বাসে প্রেম সম্পর্ক গড়ে তুলেন। গত ১৮ এপ্রিল রাতে তার ঘরে প্রবেশ করে জোর পুর্বক তাকে ধর্ষণ করে। শুক্রবার দেবর কামরুকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে নানান অজুহাতে তালবাহানা শুরু করে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। দেবর কামরুল ইসলামের সাথে তার মৃতঃ স্বামীর যৌথ ব্যবসার টাকা আত্মসাতের হুমকি দেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে ধর্ষক দেবর কামরুল ইসলামকে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় দেবরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
চরফ্যাসন থানার ওসি মো. শামসুল আরেফিন জানান, এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষক কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে শনিবার আদালতে সোপর্দ করেন। মামলা প্রসঙ্গে কামরুল মাস্টার বলেন ঘটনাটি মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক।