সর্বশেষঃ

শতাব্দীর মহানায়ক অনন্য মুজিব : পর্ব-১০

ড. তাইবুন নাহার রশীদ (কবিরত্ন),

(গত সংখ্যার পর) ২৮শে জানুয়ারী আমাদের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যা ৭টায় এক ভাষণ পেশ করলেন। সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য দেশবাসীকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ জানালেন। আরও বললেন, মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান, মরহুম ভাষানী ও শহীদ জিয়ার কথা। জিয়া কখন শহীদ হয়েছিলেন ? সে মরহুম জিয়া না বলে শহীদ জিয়া বললেন। এত বড় মিথ্যা কথা বলা দেশবাসীর কাছে প্রবঞ্চনাকারী ও শঠ বলে পরিগনিত হলেন।

গ্রামে-গঞ্জে, থানায়-মহকুমায়, নগরে-মহানগরে কোন লোকই ভোট দিতে যায়নি। এমনকি ক্যান্টনমেন্ট ও আদমজিতে আর্মি অফিসাররাও নিরাপত্তার অভাবে ভোট দিতে যায়নি। গ্রামে-গঞ্জে ভোটের বাক্সই যায়নি। ইলেকশনের নামে দেশে প্রধানমন্ত্রী একটি প্রহসন চালিয়েছেন। দু’দিন আগে টাঙ্গাইলে দু’জন প্রিজাইডিং অফিসার ভোটের বাক্স ও পুলিশ, ড্রাইভার, গাড়ী রেখে দু’দিন পর্যন্ত জঙ্গলে জঙ্গলে পালিয়েছিলেন। এ খবর ঢাকায় এসে পৌছালে তাদের উত্তরার বাড়ীতে এক শোকের মাতম নেমে আসে। এরপর ধীরে ধীরে ঐ ম্যাজিষ্ট্রেট ও অফিসাররা বাড়ী ফিরে এসেছে।

অনেক লোক নিরাপত্তা অভাবে ভোট কেন্দ্রে যায়নি। অসহযোগ আন্দোলনে সারা দেশ অচল। মেয়র মহিউদ্দিনের পরিচালনায় চিটাগাং বন্দর নগরী অচল। এমনকি পোর্টও বন্ধ ছিল, আর্মি অফিসারদের নিয়েও কোন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেননি। ক্ষমতাশীল সুদক্ষ জনাব হানিফের পরিচালনায় ঢাকার রাজপথ ছিল অচল। বরিশাল ছিল রণক্ষেত্র। প্রধানমন্ত্রীকে কয়েকবার বরিশালের যাত্রা ক্যান্সেল করতে হয়েছে। বরিশালের লোকের প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতিতে আস্থা ছিল না। তার কাজকর্ম, তার চলা ফেরার প্রতি বিদ্বেষ ছিল। মিথ্যার রাজনীতি বরিশালের লোকেরা বরদাস্ত করেত পারে না।

বরিশাল শেরে বাংলা এ. কে, ফজুল হকের দেশ, যাকে নাম দিয়েছিল ভারতবর্ষের লোক বাংলার বাঘ। তার রাজনীতি ছিল ত্যাগ, তিতীক্ষার কথা, আজও বাংলার ঘরে ঘরে স্মৃতি হয়ে আছে আমাদের হক সাহেব হৃদয় নিংড়ানো নাম।

(চলবে————)

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।