সর্বশেষঃ

তজুমদ্দিনে মৎস্যজীবিদের পুনর্বাসনের চাল না পাওয়ার আহাজারী

(তজুমদ্দিনে পুনর্বাসনের চাল না পাওয়া নিবন্ধিত জেলে)

ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনায় মাছ ধরার দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার বিপরিতে মৎস্যজীবি পরিবার গুলোতে জেলেকার্ড থাকা সত্বেও পুনর্বাসনের চাল না পাওয়ায় আহাজারী দেখা দিয়েছে। নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা অনুযায়ী বরাদ্ধ কম হওয়ার কারনে সব জেলে চাল না পাওয়ায় মৎস্যজীবিদের মাঝে ক্ষোভ ও বিভ্রান্তি দেখা দেওয়ার কথা জানান সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সুত্র জানায়, তজুমদ্দিন উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে নিবন্ধিত জেলে ১৮ হাজার ৫ শত ২০ জনের বিপরিতে ৪০ কেজি করে ৪ মাসের ১২৭২ মেঃটন পুনর্বাসনের চাল বরাদ্ধ আসে ৭ হাজার ৫ শত ৫৫জন জেলের নামে। কার্ডধারী তালিকাভুক্ত জেলে রফিজল, জুরন চন্দ্র দাস, মোঃ ইউসুফ, মোঃ হারুনসহ অনেকে জানান, আমরা প্রকৃত জেলে হয়েও চালের তালিকায় নাম উঠেনি।
চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর জানান, চাদপুর ইউনিয়নে নিবন্ধিত জেলে ৭৩১০ জনের বিপরিতে বরাদ্ধ পেয়েছি ২৮৫০ জনের। মৎস্যজীবির তুলনায় বরাদ্ধ কম হওয়ায় অনেক জেলে বাদ পড়েছে। বাদ পড়া জেলেরাই অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যায়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ রাসেদ খান বলেন, বার বার একই জেলেকে চাল না দিয়ে তালিকা পরিবর্তন করে পর্যায়ক্রমে সকল জেলের পুনর্বাসনের বরাদ্ধ পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম জানান, নিবন্ধিত জেলের সমসংখ্যক পুনর্বাসনের বরাদ্ধ প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করা হবে।
তজুমদ্দিন- লালমোহনের সাংসদ আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, নিবন্ধিত যেসব জেলে বরাদ্ধ সল্পতার কারনে পুনর্বাসনের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে , তাদেরকে প্রধান মন্ত্রীর ত্রাণ সহযোগীতার আওতায় আনা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page