২৫ লাখের বেশি আক্রান্ত
বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৭৭ হাজার
করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী করোনায় বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৫ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬১৯ জন। আর সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৬ লাখ ৯০ হাজার ৩৯৩ জন। এ মহামারি এ পর্যন্ত বিশ্বের ২০০ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে আক্রান্ত ৮ লাখ ১৮ হাজার ছড়িয়েছে। মৃত্যুও বিশ্বের সব দেশকে ছাড়িয়ে ৪৫ হাজার অতিক্রম করেছে। করোনায় আক্রান্ত শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে আরো রয়েছে স্পেন, ইটালি, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য।
করোনার হটস্পট হয়ে উঠা স্পেনে ২ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। আর ইতালিতে ১ লাখ ৮৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ২৪ হাজার ছাড়াল।
অন্যদিকে উৎপত্তিস্থল চীনে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৩৬। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যেকোনো মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিসে পেইনি বলেছেন, করোনা নিয়ে চীনের স্বচ্ছতার বিষয়টি সর্বোচ্চ উদ্বেগে পরিণত হয়েছে।
এদিকে করোনা মহামারির ফলে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে আফ্রিকাসহ বেশ কিছু স্বল্পোন্নত দেশ। বিভিন্ন দেশে লকডাউন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ফলে ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় এ শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৭-৮ সালের দিকে খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে যে ধরনের সহিংস পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। বিশ্ব চাইলে আসন্ন এ সংকট ঠেকাতে পারে; তবে তা করার সময় ফুরিয়ে আসছে। খুব দ্রুতই সম্মিলিতভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফসলের ওপর পঙ্গপালের আক্রমণের কারণে এমনিতেই তীব্র সমস্যার মধ্যে আছে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ। ৭০ বছরের মধ্যে এতটা খারাপ পরিস্থিতিতে আর পড়তে হয়নি তাদের। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আগেই এসব দেশের অন্তত ২ কোটি মানুষ প্রচণ্ড খাদ্য অনিরাপত্তাজনিত ঝুঁকিতে ছিল।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থার (এফএও) জরুরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক পরিচালক ডমিনিক বারজিওন বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তাজনিত দিক থেকে কিছু জায়গা দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অভাবের মাত্রাটা এমনিতেই অনেক বেশি। এ সময়ে আরেকটি আঘাত তারা সহ্য করতে পারবে না। এ নিয়ে আমরা খুব উদ্বেগে আছি।