বগুড়াকে লকডাউন ঘোষণা
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় আরও এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত ওই ব্যক্তি পেশায় ট্রাক-চালক (২৮) । তিনি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার বাসিন্দা। পাঁচদিনের ব্যবধানে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরত এই নিয়ে দুই ব্যক্তি আক্রান্তÍ হলো।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবেলায় বগুড়া জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে এই লকডাউন কার্যকর হবে।
আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহীদুল্লাহ্ দেওয়ান মঙ্গলবার সকালে জানান, সান্তাহার পৌরসভার সাহেব পাড়ার বাসিন্দা ট্রাকচালক ওই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন। গত ১৪ এপ্রিল রাতে তিনি বাড়ি ফেরেন। গায়ে জ্বর ও কাশি থাকায় ১৫ এপ্রিল সকালে তিনি হাসপাতালে আসেন। তখন তাকে কিছু চিকিৎসা দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
ডা. শহীদুল্লাহ্ দেওয়ান বলেন, করোনা উপসর্গ থাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী তিনদিনের মাথায় অর্থাৎ ১৮ এপ্রিল ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আজ রিপোর্ট আসে, ওই ব্যক্তি করোনা পজিটিভ। এখন আমরা তাকে এবং তার স্ত্রীসহ বাড়িতে অবস্থানরত পরিবারের অন্য স্বজনদের অ্যাম্বুলেন্সে করে বগুড়ায় করোনা আইসোলেশন ইউনিট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছি।
উল্লেখ্য,পাঁচদিন আগে জেলার আদমদীঘি উপজেলার নশরৎপুর ইউনিয়নের শাওইল গ্রামের বাসিন্দা এক পুলিশ কনস্টেবল করোনায় আক্রান্ত হন। ঢাকায় কর্মরত ওই পুলিশ কনস্টেলের নমুনা পরীক্ষার পর গত ১৬ এপ্রিল রাতে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে তাকে করোনা পজিটিভ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো আদমদীঘি উপজেলাকে লকডাউন করা হয়। বর্তমানে ওই পুলিশ কনস্টেবল তার স্ত্রীসহ করোনা আইসোলেশন ইউনিট বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ মঙ্গলবার দুপুরে জানান,লকডাউনের কারণে এই জেলায় কেউ প্রবেশ করতে এবং বের হতে পারবেনা। জেলার ভেতরে আন্ত উপজেলাতে যোগাযোগ বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবার ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবেনা।