দৌলতখানে কালবৈশাখী ঝড়ে কেড়ে নিল অসহায় বৃদ্ধার ঘর
ভোলার দৌলতখান পৌরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হালিমা বেগম। বয়স ৭৫ বছরের ঊর্ধ্বে। স্বামী মৃত জনু মাঝী। ৩ ছেলে রয়েছে। ওই তিন ছেলের মধ্যে একজন মারা গেছে। বাকী দুজন অনত্রে থাকে। হালিমার স্বামী মারা যাওয়ার পর কোন রকম খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতেন। তার থাকার ঘরটিও ছিল নড়মড়ে। সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে কেড়ে নিলো অসহায় হালিমার ঘরটি।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) বিকালে হালিমা সাংবাদিকদের কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ১৩ বছর পূর্বে আমার স্বামী মারা যান। দুই ছেলে কোন খোঁজখবর রাখেননা। এরপর থেকে কোনো রকম দু’বেলা-দু’মুঠো খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি । থাকার জন্য একমাত্র সম্ভল ছিলো ওই ঘরটি । তাও কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ঘরের উপর গাছ পরে ঘরটি ভেঙ্গে মাটির সাথে লুুটে গেছে। বর্তমানে আমি অসহায়। সংসারের আয়রোজগারের কোন ব্যবস্থা না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছে হালিমা। হালিমা আরও জানান, সরকারিভাবে ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে একটি চালের বস্তা পেয়েছি।
খবর পেয়ে দৌলতখান পৌরসভার মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার ও পৌর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার আলাউদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয়রা জানান, হালিমা বেগম খুব অসহায় মহিলা। তার স্বামী নেই। ছেলে থাকলেও তার কোন খোঁজখবর রাখেননা। হালিমা খুব কষ্টে দিন কাটাছে। এ মুহুর্তে সকলে তার কাছে এগিয়ে আসা উচিত।
এদিকে ওইদিনের কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে ভবানীপুর ইউনিয়নে ২০/৩০ টি বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নবী নবু বলেন, কাল বৈশাখী ঝড়ের আঘাতে আমার ইউনিয়নে ২০/৩০ টি ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও অনেক গাছ উপরে পড়েছে।
দৌলতখান পৌরসভার মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার বলেন, ইতিমধ্যে ত্রাণ সামগ্রী আমি হালিমার বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। কালবৈশাখীর ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ উপড়ে পরে তার ঘর ভেঙে গেছে তাই আমরা স্থানীয়ভাবে একটি ঘর করে দিব।
দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জীতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে অনেকের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি আমি শুনেছি। চেয়ারম্যানগণ ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে পাঠালে সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সহায়তা প্রদান করা হবে।