শতাব্দীর মহানায়ক অনন্য মুজিব : পর্ব-৬
ড. তাইবুন নাহার রশীদ (কবিরত্ন),
(গত সংখ্যার পর) কেন তারা সিরাজ উদৌলার পলাশীর যুদ্ধ ক্ষেত্রের মত নীরব নিথর হয়ে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরাজয় স্বীকার করে নিল। একা গোলাম হোসেন কি করবে ? লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে আসে। বার বার মনকে প্রশ্ন করি, কেন ? কেন ? মন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে আসে হে নতুন পৃথিবী তোমার দ্বার উন্মোচন কর। হে মহামন্ত্র দিগ দিগন্তে বন্ধ পৃথিবীর দুয়ার খুলে দাও। এবার বেরিয়ে আসুক বঙ্গবন্ধুর নবীন সৈনিক, তাদের গায়ে লোহার বর্ম, হাতে সোনার তরবারী< মন দৃঢ়তর শক্ত লোহার বাঁধনে বদ্ধপরিকর আর নয় এবার দেশের পঙ্কিলতা দূর করে হাজার হাজার, লাখে লাখে, যুবক-যুবতী আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় রাজনীতির মাজে ঝাপিয়ে পড়ে তাদের দেশের ন্যায়, নীতির রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করে সুষ্ঠু সরল রাজনীতির জন্ম দেবে। বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বলে টিভিতে, রেডিওতে, গ্রামে-গঞ্জে, নগরে-পল্লীতে ঘোষণা দেবে।
আর আমাদের মরহুম মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান সাহেবের সময় কু হয়ে মরহুম মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ মারা গেলন। তার লাশ তিন দিন সি.এম.এইচ প্রাঙ্গনে পড়েছিল। লেখা ছিল, নিমক হারামের কি পরিনতি। জানি না কি নিমক হারামি তিনি করেছিলেন। মরহুম জিয়া সাহেব বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে পদার্পণ করলেন সগৌরবে। তারপর বঙ্গবন্ধুর হত্যার নায়কদের এক এক জনকে বড় বড় পোস্টের গদিতে বিদেশে প্রেরণ করলেন। আর নিজে বাংলাদেশেল প্রেসিডেন্টের গদিতে বসলেন আর আরম্ভ হল সৈনিক হত্যা, মানুষ হত্যা।
এরকম আঠার বার কু হয়ে কত লোকের ছেলে, জামাই যে কু’য়ের নাম দিয়ে নিধন হয়েছে আজ আমি তা লিখে শেষ করতে পারব না। রাজনীতির তিনি কি জানেন আমি জানি না, তিনি স্কুল-কলেজ বানিয়েছেন, কিছু রাস্তা ঘাটও বানিয়েছিলেন। তা একটা কিছু ত করতেই হবে।
রাজনীতি বড় শক্ত জিনিস। রাজনীতি শৈশবকাল থেকে করেও একজন মানুষ পাকা রাজনীতিবিদ হতে পারে না। যাকে বলে ঝানু রাজনীতিবিদ। আমার বয়স অনুপাতে আমি যা দেখেছি, তা লিখে গেলাম। যার বংশধরগণ সব চাকুরীজীবী বা কেউবা আর্মির উচ্চ পদের অধিকারী, রাজনীতির নামগন্ধও তার প্যামিলির মধ্যে নেই। সে লোকটি ক্ষমতার লোভে এসে রাজনীতির নামাবলি গায়ে গলায় ঝুলিয়ে দিলেন।
শেখ সাহেবের হত্যার পর তার সব নাম মুছে দিয়ে তিনি বি.এন.পি নামে এক রাজনীতিক সংগঠন করলেন। মীর জাফরের দল তার দলে এসে ভিড় করল ক্ষমতার লোভে। ক্ষমতা লোভীরা চলল দুর্দান্ত গতিতে, নগরে-বন্দরে, শহরে-মহানগরে, গ্রামে-গঞ্জে, থানায়-মহকুমায় বি. এন.পি’র রাজনীতির খেলা। মহিলা সংস্থা, মহিলা বি. এন.পি. গঠিত হল। মহকুমা, জেলায় এসেমব্লিতে তার প্রতাপে পার্লামেন্টে সংবিধান রচিত হল বঙ্গবন্ধুর হত্যার কোন বিচার হবে না। ইনডেমনিটি আইন। পৃথিবীর কোন দেশে এরকম আইন আছে বলে আমার জানা নেই। বাংলাদেশে বা সব দেশেই চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, খুন সব কিছুরই বিচার আইনমাফিক হয়।
(চলবে————)