লোকসানে লালমোহনের তরমুজ চাষীরা
ভোলার লালমোহনে এবছর তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও হাসি নেই তরমুজ চাষীদের মুখে। আবহাওয়া ভালো থাকায় তরমুজের ফলনও হয়েছে বাম্পার। তবে বাজারে ক্রেতা কম ও পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় চাষিদের গুনতে হচ্ছে লোকসানের হিসাব।
উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রে জানা গেছে, লালমোহনের বদরপুর, ফরাজগঞ্জ ও পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চরের প্রায় ৩৯ হেক্টর জমিতে এবছর তরমুজ চাষ হয়। চাষী সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলার নবীরচরে ১৬ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করেন তিনি। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার মত। তবে তরমুজ বিক্রি করে এসেছে মাত্র ২৫ লক্ষ টাকা। সারাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মানুষ গৃহবন্ধি থাকার কারণে ক্রেতার হার কমে গিয়েছে। যার জন্য অধিক ফলনেও আমাদের অর্ধেকেরও বেশি অংশ লোকসান গুনতে হচ্ছে। এদিকে গত বছরেও আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে তরমুজের ফসল নষ্ট হয়ে মোটা অংকের লোকসান গুনতে হয়েছে আমাদের।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এফ.এম শাহাবুদ্দিন বলেন, কৃষি অফিস থেকে তরমুজ চাষীদের চাষাবাদ পদ্ধতি ও রোগ বালাই সর্ম্পকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এ বছর দেশে চলমান করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে অঘোষিত লকডাউনের ফলে চাষীদের তরমুজ নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে তরমুজ চাষীদের লোকসান কাটিয়ে ওঠার জন্য ভোলার তরমুজ সরকারী খাদ্য সহায়তার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।