ভোলার দৌলতখানের চরপাতায় জোর পূর্বক ঘর তুলে জমি দখলের পায়তারা
ভোলা দৌলতখানের চরপাতা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দুদুমিয়ার ছেলে মনুমিয়ার দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত বসবাসকৃত জমিতে জোর পূর্বক ২টি ঘর তুলে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে তারি প্রতিবেশী কালু চকিদারের ছেলে নূরুল হক চকিদার আলিআহাম্মদের ছেলে হাবিবুল্লাহ চকিদার ও তফাজ্জলের ছেলে টুলু চকিদারের বিরুদ্দে।
সূত্রে জানা যায়, উক্ত জমি চরপাতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান ও সাবেক মেম্বার এবং পরে চেয়ারম্যান নাজু হাওলাদার এবং চরপাতা মাধ্যমিক বিধ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান মাস্টারসহ আরো সমাজের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উভয় পক্ষকে একত্রিত করে উভয়ের কাগজ পত্র দেখে জমি মেপে মনুমিয়ালকে দখল দিয়ে যায়। এরপর থেকে মনুমিয়া এযাবত উক্ত জমি ভোগ করে আসছে। কিন্তু গত কয়েদিন পূর্বে হাবিবুল্লাহ, নূরুল হল ও টুলু চকিদার পূর্বের শালিশ নামা গোপন করে জোর পূর্বক ঐ জমিতে রাতের আধারে তারা দুটি ঘর তুলে।
এ বিষয়ে হাবিবুল্লাহ, নূরুল হল ও টুলু চকিদারকে জিজ্ঞাসা করলে তারা এক বাক্যে বলেন আমরা এখানে জমিপাবো তাই ঘর তুলেছি।
পক্ষান্তরে মনু মিয়াকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমি ৩০বছর যাবত এ জমি ভোগ করিতেছি এবং আমার কাছে উক্ত জমিনের দলিল পত্রসহ সকল প্রকার কাগজ পত্র সংরক্ষিত আছে। যা দেখে পূর্বের চেয়ারম্যান আমাকে উক্ত জমি বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু হাবিবুল্লাহ, নূরুল হল ও টুলু চকিদারের যোগসাযোসে হাবিবুল্লাহর কাছে থাকা আমার উক্ত সালিস নামা গোপন করে আমার জমিতে জোর পূর্বক ঘর তুলে। এ নিয়ে আমি তাদেরকে জিজ্ঞসা করলে তারা দল বল সহ আমাকে মারতে আসে বলে অভিযোগ করেন মনুমিয়া।
তিনি আরো বলেন, আমি বিষয়টি আমাদের স্থানীয় মেম্বার বিল্লাল হোসেনকে জানালে তিনি এর সমাধান করতে চাইলে তারা তাকেও কোন পাত্তা দেয়না বলে জানায় ভূক্তভোগি মনু মিয়া।
সাংবাদিকরা বিষয়টি স্থানীয় চরপাতা ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার বিল্লাল হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি পুরো ঘটনাটি সম্পূর্ন সত্য বলে আমাদেরকে জানান। তিনি এও বলেন আমার এলাকা সকলের দাবি প্রকিত মালিক যে তাকে এ জমি বুঝিয়ে দেওয়া হোক। তবে আমি বিগত ১০বছর এলাকায় বসবাস মেম্বারি করি আমি জানি উক্ত জমির প্রকৃত মালিক মনু মিয়া। যা তিনি দীর্ঘ ৩০বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছে। বর্তমানে যারা এ জমি জবর দখলের অপচেষ্টা করছে এক সময় তারা সহ তাদের পূর্ব পূরুষরা এই রায় মেনে নিয়ে ছিল। কিন্তু এখন তারাই আবার উক্ত জমিতে জোর পূর্বক ঘর তুলছে। আমি স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বিষয়টির যথাযথ সমাধান চাই।