সর্বশেষঃ

বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের ফাঁসি কার্যকর, মরদেহ ভোলায় দাফন না দেওয়ার হুঁশিয়ারি : এমপি মুকুলের

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি আব্দুল মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। শনিবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। রাত ১২টার পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমরা রায় কার্যকর করতে পেরেছি।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর। মরদেহ নিজ জন্মভূমি ভোলায় দাফন না দেওয়ার ঘোষনা ভোলা-২ আসনের সাংসদ আলী আজম মুকুলের। এ ছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ফটকে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে রয়েছেন কারারক্ষীরাও।

এর আগে রাত ১০টা ৫২ মিনিটে কারাগারে গিয়ে পৌঁছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা। এরও আগে রাত সোয়া ১০টার দিকে ঢাকার সিভিল সার্জন পৌঁছেন কারাগারে। এরপর ১০টা ৪৭ মিনিটে পৌঁছেন জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিগত দুই দশক ধরে পা‌লি‌য়ে ভার‌ত ছিলেন আব্দুল মাজেদ। গত মা‌র্চের মাঝামা‌ঝি‌ সময়ে তি‌নি ঢাকায় আসেন। পরে গত ৬ এপ্রিল দিনগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর মিরপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদ‌স‌্যরা।

এর আগে ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আব্দুল মাজেদসহ ১২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়।

রায় কার্যকরের আগে ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আসামি আজিজ পাশা। মাজেদ গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে পলাতক আসামি আছেন পাঁচজন। তারা হলেন- খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, এসএইচ এমবি নূর চৌধুরী, এএম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।