রাষ্টপ্রতির নির্দেশনাও মানছেনা

মনপুরায় কর্মস্থলে এখনও ফেরেননি অনুপস্থিত ১৩ সরকারি কর্মকর্তা

ত্রাণ বিতরনে ট্যাগ অফিসার

না পাওয়ায় হিমশীম

ভোলার মনপুরায় নিজ নিজ কর্মস্থলে এখনও ফেরেননি উপজেলার ১৩ সরকারি কর্মকর্তরা। গত ২৬ মার্চ সাধারন ছুটি পেয়ে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ওই সমস্ত কর্মকর্তারা অফিসে তালা ঝুলিয়ে সবাই যার যার বাড়িতে চলে গেছেন। এতে উপজেলার বিচ্ছিন্ন চর, দূর্গম অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ ও সামাজিক সচেতনতায় হিমশীম খেতে হচ্ছে উপজেলা প্রশাসনকে। এদিকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে উপকূলের হতদরিদ্র কর্মহীন অসহায়রা।

জনগণের এই দূর্যোগ মুহূর্তে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, অফিসার ইনচার্জ (ওসি), প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা, সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে ত্রাণ বিতরণ সহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত অপর ১৩ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস ও এলাকায় দেখা মিলছে না।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১১ এপ্রিল শনিবার এখনো কর্মস্থলে ফেরেননি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মোল্লা, কৃষি অফিসার আকাশ বৈড়াগী, তথ্য কর্মকর্তা আসমা হক, জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস, সমবায় কর্মকর্তা ফয়েজ আহম্মদ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মিজানুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) রুপকুমার পাল, সমাজসেবা কর্মকর্তা (অতিঃ দায়িত্বে) মাসুম বিল্লাহ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা টিপু সুলতান, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোঃ তারেক, খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা আবু সাইদ (অতিরিক্ত দায়িত্বে), হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ (অতিরিক্ত দায়িত্বে), সাবরেজিস্টার (অতিরিক্ত দায়িত্বে) নিহার রঞ্জন বিশ্বাস, ইউআরসি কর্মকর্তা সাইদ মোঃ রেজাউল করিম। এদের মধ্যে অতিরিক্ত দায়িত্ব ব্যতিত সবাই যার যার বাড়িতে অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে তিন কর্মকর্তা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রয়েছেন উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটিতে।

এদিকে গত বুধবার ঢাকার মিরপুর ও যাত্রাবাড়ি থেকে আসা দুইটি পরিবারকে লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও মাদারীপুরের শিবচর ও ঢাকার মাওয়া থেকে তিনটি ট্রলারে আসা ১৭৮ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এদের সাবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার তদারকিতে হিমশীম খেতে হচ্ছে উপজেলা প্রশাসনকে।

এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, বেশিরভাগ কর্মকর্তা না থাকায় ত্রান পরিচালনা ও সচেতনতা কার্যক্রমে হিমশীমে পড়ে গেছি। যেই সমস্ত কর্মকর্তারা কর্মস্থলে নেই তাদের তালিকা করে জেলা প্রশাসকের বরাবরে পাঠানো হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।