লকডাউন বাড়ি থেকে ঈদের বাজারের তালিকা-বিভ্রান্তিতে চেয়ারম্যান-ফেসবুকে লিস্ট ভাইরাল
এমন কান্ড ঘটিয়েছে ভোলার আলিনগরে ৬নং ওয়ার্ডে নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে আশা এক ব্যাক্তি। গত চার পাঁচ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে আসে এক ব্যাক্তি এমন খবর পেয়ে প্রশাসন বাড়িটিকে লকডাউন করে লাল পতাকা টানিয়ে দেন।
বাড়িটি প্রশাসন লকডাউন করে ওই এলাকার চেয়ারম্যানের ফোন নাম্বার দিয়ে আসেন লকডাউন বাড়ির লোকদের এবং বাড়ির দেখাশোনা ও বাজারের দায়িত্ব দিয়ে আসেন এলাকার চেয়ারম্যানকে তারপর থেকেই শুরু হয় নানান আবদার প্রতিদিন বাজারের হরেক রকম চাহিদা সম্পন্ন তালিকা করে পাঠান ওই বাড়ির লোক কখনো সুই সুতা,কখনো মুরগির খাবারের ফিড, মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড,দাঁতের মাজন,
কখনো পান সুপারি,আজ দিয়েছে ঈদের বাজারের মেহমান খাওয়ানোর মত বাজারের পড়চা/লিস্ট সেখানে দাঁতের মাজন থেকে শুরু করে পোলাউ চাল,দুধ,মাংশ বাদ যায়নি কিছু চাহিদা মিটাতে মিটাতে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে গেছেন চেয়ারম্যান।
আলিনগরের সেই বশির আহমেদ চেয়ারম্যান এর সাথে কথা বলেলে তিনি জানান,আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার সাথে সাথে ওই দিন আমি
চকিদারকে দিয়ে চাল২০কেজি ডাল ২কেজি আলু ৬ কেজি পেঁয়াজ ৬ কেজি পাঠিয়ে দেই। পরের দিন পান সুপারি ওষুধের জন্য চকিদার কে পাঠায় আমার কাছে আমি পান সুপাড়ি ও ওষুধের জন্য ১০০০ টাকা দিয়ে দেই। একদিন পরেই আবার ফ্লেক্সিলোডের জন্য টাকা চাওয়া হয় তাও পাঠাই কোন কিছুর কমতি রাখছি না বিপদে পড়েছে অসহায় পরিবার পাশে থাকা এটা আমার দায়িত্ব কিন্তুু আজ বিকালে নারায়ণগঞ্জ থেকে আরেক জন ব্যক্তি এসেছে এমন খবর পেয়ে আমি লকডাউন করতে এলাকায় গেলে এলাকার চৌকিদার এসে আমার কাছে লকডাউন করা ওই বাড়ির একটি লিস্ট দিয়ে যায় তাদের বাজারের লিস্ট দেখে তো আমি অবাক হয়ে গিয়েছি মনে হলো মেহমান খাওয়ানোর জন্য বাজারের তালিকা পাঠিয়েছে আমার কাছে।ওই ব্যাক্তির নাম জানতে চাইলে চেয়ারম্যান একটু হেসে বলেন থাক নাম বললে হয়তো লজ্জা পাবে তিনি তাকে নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করবে।তাদের চাহিদা মেটায়ে পেরেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে চেয়ারম্যান বলেন আমার কাজ আমার সামর্থ্য যতোটুকু আছে আমি চেষ্টা করছি।
ওইবাড়ির বাজারের তালিকাটি এলাকার চৌকিদার এর কাছ থেকে নিয়ে ইসরাফিল নামের এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে পোষ্ট করে একটু হাস্যকর ও আক্ষেপে লিখেন,
“আমাদের আলীনগর ইউনিয়নের গত তিনদিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে আসা এক ব্যক্তির বাড়ি প্রশাসন কর্মকর্তাগন খবর পেয়ে এসে বাড়িটি লকডাউন করে লাল পতাকা লাগিয়ে দেন।
এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা গণ লকডাউন করা বাড়ির লোককে আমাদের আলীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব বশির আহমেদের ফোন নাম্বার দিয়ে আসে।
এবং বলা হয়েছে লকডাউন করা বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিতে।
তিন দিন আগে চালডাল আলু পেয়াজ তেল এগুলো পাঠানোর পরে গতকালকে লিস্ট দিছে পান সুপারি জর্দা ও মোবাইলে রিচার্জ করে দিতে।
এবং আজকে লকডাউন করা বাড়ি থেকে যে লিস্ট দেওয়া হয়েছে।
আপনারা সকলে একটু দেখেন মনে হচ্ছে ঈদের বাজার লিস্ট।😄😄
এটা হচ্ছে বাড়িটি কেন লকডাউন করা হলো এটা তার নমুনা।😄😄
তার এই স্ট্যাটাসটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ বিভিন্ন হাস্যকর কমেন্ট করতে থাকে কেউ কেউ লিখেন,
mamun dipanchol লিখেন অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে, এর চেয়ে ভালো হয় একটি গরু ও একটা খাসি কিনে পাঠানো হউক, সাথে কসাই,ও বাবুর্চি।
কেউ লিখেন -এদেরকে লগডাউন না করে লগ আউট করা দরকার।
নানান হাস্যকর কমেন্টসে বাজারের লিস্ট টি মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।