সর্বশেষঃ

খুনি মাজেদের দ্রুত ফাঁসি ও লাশ বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দিতে এমপি শাওনের সংবাদ সম্মেলন

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি বরখাস্তকৃত ক্যাপ্টেন খুনি মাজেদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর ও তার লাশ বাংলার মাটিতে দাফন না করে বঙ্গপসাগরে ভাষিয়ে দেয়ার দাবী জানান ভোলা- ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন।
১১ এপ্রিল বিকাল ৪টায় লালমোহন উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিস কার্যলয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবী জানান এমপি শাওন। তিনি বলেন দ্বীপ জেলা ভোলার কুলাঙ্গার যার জন্ম ভোলা বাসীকে কলঙ্কিত করেছে। সেই কুলাঙ্গার বরখাস্তকৃত ক্যাপ্টেন মাজেদকে জাতীর পিতার জন্মশত বার্ষিকীতে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ ভোলা বাসীসহ পুরো দেশবাসী এই কুলঙ্গারের দ্রুত ফাঁসি দেখতে চায়। দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর করে এই মীরজাফরের প্রেতাতœা বহিস্কিত ক্যাপ্টেন মাজেদের লাশ ভোলাবাসী কখনও গ্রহণ করবে না। আমাদের দাবী তার লাশ বঙ্গপসাগরে ভাসিয়ে দেয়া হোক।
তিনি আরও বলেন সারা পৃথিবী আজ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এমনি এক দুসময়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের কে সুসংবাদ দিয়েছে মাজেদকে গ্রেফতার করে । আমরা জাতীর পিতার রক্তের ঋণ দীর্ঘ দিন বয়ে বেরাচ্ছি। জাতীর পিতার আবর্তমানে তার সুযোগ্য কন্যা সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর দেশে হত্যা খুন ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চিরতরে বন্ধের লক্ষ্যে দেশে প্রচলিত আইনে বঙ্গবন্ধুর খুনির বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল এবং ইতিমধ্যে কয়েকজন খুনির ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। দ্রুত এই কুলঙ্গার খুনি মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকর করে জাতীতে কলঙ্কমুক্ত এবং বিশেষ করে ভোলাবাসীকে কলঙ্কমুক্ত করা হোক।
যে মানুষটি বাঙ্গালীর স্বাধীনতা স্বপ্ন্ দেখেছিল। এই স্বধীনতা স্বপ্নপুরনের লক্ষ্যে যিনি তার যৌবনের শ্রেষ্ঠতম সময়গুলো পাকিস্তানের কারাগারে কাটিয়েছিলেন। কারাগারকে যিনি সংসার বানিয়েছিলেন। যিনি তার সন্তানদের পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত করেছেন। স্ত্রীকে সময় না দিয়ে নিজে উৎসর্গ করেছিলেন বাংঙ্গালী জাতীকে পরাধীনতার শৃঙ্খলার থেকে মুক্ত করতে। শত নির্যাতন সহ্য করে বাংগালীকে স্বধীনতা এনে দিয়ে বাঙ্গালীকে অর্থনৈতিক মুক্তিদেয়োর চেষ্টা করেছিল যখন তিনি বাঙ্গলীর অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্নে বিভোর ঠিক তখনই ৭১ এর পরাজিত শক্তি ও নরখাদক গংরা কুলাঙ্গার প্রেতাত্মারা ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতীর পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। দাবী জানাচ্ছি বঙ্গবন্ধুর বাকী খুনিদের কুটনীতিক তৎপরতার মধ্যদিয়ে দেশে এনে তাদের ফাঁসির রায় বাস্তবায়ন করা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।