সর্বশেষঃ

ভোলার রাজাপুরে স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাকে ধর্ষণের মামলা।। টাকার বিনিময়ে ফাইনাল দেন দুই দালাল

ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে ৫নং ওয়ার্ডে স্বামী পরিত্যাক্তা এক সন্তানের জননী কে ধর্ষণ করেন প্রতিবেশী সম্পর্কে মামা ফারুক খান (৫৫) ও চাচা আবু মাল (৬০) এই পর্যায়ে ঐ প্রতিবন্ধী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরলে ফারুক খান ও আবু মাল ঔষধ সেবন করিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার চেষ্টা করলে ঐ বাকপ্রতিবন্ধী অসুস্থ হয়ে পড়েন গত ৪ মার্চ রাতে। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খবর পেয়ে অসুস্থ ১ সন্তানের জননী কে চিকিৎসার খরচ দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মিজান খাঁন হাসপাতালে পাঠায়।

এই ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ভোলা সদর থানায় দুই ধর্ষকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর থেকেই পলাতক রয়েছে ধর্ষকরা।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে পুলিশ ব্যস্ত থাকায় এই সুযোগে দুই ধর্ষক এলাকায় এসে ধর্ষিতার মামা রাজাপুর ৪নং ওয়ার্ডের বিল্লাল চকিদার ও সাবেক কোস্টগার্ডের মাঝি কালামের সাথে একটি রফাদফার ব্যাবস্থা করেন। এছাড়া এই দালাল দুই ধর্ষকের পরিবার থেকে পুলিশের নাম বলে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে জানান ধর্ষিতার ভাই আসলাম।

কালাম ও বিল্লাল দালাল ভোলার রাজনীতিক নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে বলেন তাদের দিয়ে ওসি আর মামলার আইও কে ফোন দিলে সব শেষ, অন্যদিকে প্রতিবন্ধী ধর্ষিতা কে জিম্মি করে তার মামা দালাল বিল্লাল চকিদার ভোলায় এনে কোন কোর্টে নাকি জবানবন্দি দিতে বলেছেন যে ধর্ষক আবু মাল জড়িত ছিলো না, দালাল বিল্লাল আবু মাল থেকে টাকা নিয়ে তার বোন ও ভাগনি কে জিম্মি করে এমন কাজ করেছে বলে জানান ধর্ষিতার মা।

ধর্ষিতার ভাই আসলাম বলেন, আমরা গরীব মানুষ আর আমার মামা আমাদের ইজ্জত বিক্রি করে আবার হুমকি দেয়, আমরা এর সঠিক বিচার চাই ।
বর্তমানে ধর্ষিতার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং বিল্লাল চকিদার ও কালামের ভয়ে আতঙ্কে রয়েছেন মেয়ের ভাই আসলাম।

এদিকে দালাল বিল্লাল নাকি বলেন আমি অল্পের জন্য গত ইউ,পি নির্বাচনে মেম্বার হতে পারিনাই হতে পারলে এসব মামলা তো ছিল ওয়ান-টু এর ব্যাপার। তবুও সমস্যা নেই ১২ আনি মামলা ফাইনাল। তবে চিন্তা না করার জন্য বলেন দুই দালাল। খরচের পরে তাদেরকে কিছু টাকাতো দেবে বলে জানান দালাল কালাম।

এ ব্যাপারে বিল্লালের সাথে ফোনালাপে জানান আমি দেখেছি সাংবাদিকেরা বিভিন্ন পত্রিকা ও অন লাইন নিউজ পোর্টালে আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করছে। আমি এমামলার বিষয়ে কোন অর্থ বিনিময়ে সম্পৃক্ত নই। তবে এ ধর্ষন মামলাটি বাদি ও বিবাদির বিচারের ব্যাবস্থা করে ফয়সালা দেবার চেষ্টায় বাদি পক্ষের কারনেই ফয়সালা করতে আমি ও কালাম ব্যার্থ হয়েছি। এব্যাপারে দালাল কালাম এ প্রতিবেদকের সাথে কথা না বলার ইচ্ছা পোষন করেন।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শ্রী রতন চন্দ্র শীল বলেন, আমিও শুনেছি ওরা রফাদফার প্রক্রিয়া করেছে তবে আমরা আসামী গ্রেফতার করার চেষ্টা করছি কেউ রফাদফা করতে চাইলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।