ভোলা উত্তর দিঘলদী প্রবাসী আবুল কাশেম এর উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদীর সন্তান মানবতার পরম বন্ধু সৌদী প্রবাসী আবুল কাশেম এর উদ্যোগে শতাধিক পরিবার কে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন। করোনা ভাইরাসের কারনে বর্তমান পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিলেন প্রবাসী আবুল কাশেম। তিনি বর্তমানে সৌদী আরব থেকেও এলাকা খোজ খবর নিয়ে তার নিকটতম আত্বীয় ফখরুল ইসলাম লাভলু হাওলাদারের মাধ্যমে সুবিধা বন্চিত শতাধিক পরিবারকে চাউল, ডাল, আলু, পেয়াজ এ সকল খাদ্য সামগ্রী সরকারী বিধি মেনে লোক সমাগম না করে তালিকা অনুয়ায়ী প্রত্যেকের বাড়ী বাড়ী পৌছে দেন।

তার এ খাদ্য সামগ্রী পেয়ে তাজু বেগম কেদে কেদে বলেন, আমি ১মাস অসুস্থ্য। কেউ আমার খবর নেয় নাই। আমি জীবনে বিয়ে করিনাই, আমাকে দেখার কেউ নাই, আমি আমার বিধবা বোনের নিকট থাকি, যদি আপনারা এগুলো না দিতেন কত দিন মানুষের কাছে যাইতে পারিনা, তাহলে না খেয়েই থাকতে হতো। এ কাশেম মিয়া আমাদেরকে গত রোজার আগের রোজায় ২০কেজী চাউল দিয়েছে। আল্লাহ তারে বাচাইয়া রাখুক।

অনেক পরিশ্রমি যুবক আবুল কাশেম, সৌদীতে প্রচন্ড গরমে রোদে পুড়ে রোজগারের টাকা আয় করে তিনি শুধু নিজের সুখের দিকে চাননি, বরং অন্যের দুঃখ দুর্দশায় শতাধিক পরিবারের পাশে দাড়িয়ে কিছুটা হলেও মানুষ উপকৃত হয়েছে। তিনি এমনই একজন মহৎ লোক গতকাল ১/৪/২০ইং ভোলা নিউজের সংবাদ ফেজবুকে দেখে এক মায়ের লাশ লালমোহন পাঠাতে ১০ হাজার টাকা সহযোগীতা করে লাশ পাঠানোর ব্যাবস্থা করেন।

এমনি ভাবে তিনি মসজিদ নির্মান,মসজিদে ঈমামের বেতন, হাফিজিয়া মাদ্রাসায়, মক্তব সহ রোগীর চিকিৎসায় সহযোগীতা করে আজ তিনি আত্ব মানবতার ফেরিওয়ালা। তিনি তার প্রতিনিধির মাধ্যমে জানান, আমার সামর্থানুযায়ি শতাধিক পরিবারকে সহযোগীতা করেছি। এমনি ভাবে এলাকার বিত্তবানরা যদি সাহায্যের হাত বাড়াই আজ অসহায় মানুষের হাসিতে কেয়ামতের দিন আল্লাহ দানকারীদের মুখে হাসি ফোটাতে পারেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page