সর্বশেষঃ

সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষিত, ভোলায় ঝাটকা নিধনের মহাউৎসব

দেশে এখন করোনা ভাইরাস নিয়ে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনি মানুষকে সচেতন করার জন্য দিন রাঁত কাজ করে যাচ্ছেন। এই সুযোগে ঝাটকা ইলিশ নিধনের মহউৎসবে মেতেছে ভোলার জেলে পল্লীতে। ভোলার প্রতিটি মাছঘাটে ঝাটকা ইলিশ বিক্রির ধুম পরেছে। এমন চিত্রই দেখা গেছে ভোলার মাছ ঘাট গুলোতে। যেন উৎসবের আমেজ বইছে।

সরকার গত পহেলা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ১৯০ কিলোমিটার নদীর সিমানায় ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষনা করে। এ সময় নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও মৎস বিভাগের তদারকির অভাবে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে ধুমছে মাছ শিকার করছে জেলেরা। শুধু তাই নয়, এই মাছ বিক্রিও করছেন প্রকাশ্যে।
সোমও মঙ্গলবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন হাঁটবাজারে জেলে ও মৎসজীবীরা প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রি করছেন।
এদিকে নদীতে এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যাক্তি ও আরৎদারদের সহযোগিতায় জেলেরা মাছ ধরছেন। অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীর ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে বাজারে ইলিশ বিক্রি করছেন। ভোলার অলি গলীতে, রাস্তা ঘাটে, বাজারে ও বন্দরে এসব দৃশ্য এখন হরহামশায় পরিনত হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশাসনের এমন আচরনে হতবাক সাধারন মানুষ।
ভোলার বিভিন্ন মাছ ঘাটে থাকা বেপারীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে জাটকা ইলিশ শিকারে পাঠায়। বেপারীরা ওই মাছ বস্তায় বা বিভিন্ন ব্যাগ ভর্তি করে ইজিবাইকে বিভিন্ন বাজারে পাঠিয়ে তা প্রকাশ্যে বিক্রি করছে।
দুই মাসের এ নিষেধাজ্ঞার সময়ে কিভাবে ইলিশ শিকার ও ক্রয়-বিক্রয় চলছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মৎস কর্মকর্তারা আসাদুজ্জামান বলছেন, বর্তমানে দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমন চলছে, এ অবস্থায় আমরা নদীতে অভিযান পরিচালনা করতে পারছিনা। কারন আমরাও হোম কোয়ান্টোইনে আছি। দেশের পরিস্থিতি ভাল হলে আমরা বিষয়গুলো দেখবো।
জেলা মৎস কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলছেন, এই মুহুর্তে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নেই। তাই আমাদের অভিযান পরিচালনা করতে সমস্যা আছে, তবে আপনি সদরের অন্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।