সামাজিক দুরত্ব মানছেন না চরফ্যাশনের সাহেবের হাটের লোকজন

সামাজিক দুরত্ব না মেনে ও সরকারি নির্দেশনা অমান্যকরে চলছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের সাহেবেরহাট। এতে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রামন স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পরার অশংকা সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

চরফ্যাশনে নৌ-বাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন জনসাধারণকে জনসমাগম না করা সহ সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করণে নানা ভাবে সচেতনতা মূলক প্রচারণা চালালেও দূরত্ব বজায় রাখছেন না বাজারে আসা এসব ক্রেতারা।

সোমবার (৩০মার্চ) সকালে সাহেবেরহাট এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের ভিড় যেন ঈদ বাজারে পরিনত হয়েছে। আব্দুল্লাহপুর, দুলারহাট নীলকোমল, ঘোষেরহাট, নুরাবাদ, আহাম্মদপুর হাজিরহাট, হাজারিগঞ্জ, আবুগঞ্জসহ শশিভূষণ ও দক্ষিণ আইচা বাজাওে ঘুরেও দেখা গেছে একই চিত্র। দূরত্ব বজায় রেখে এক সঙ্গে তিন জনের বেশি জমায়েত না হওয়ার সরকারি নির্দেশনা কোনো কাজেই আসেনি এসব ক্রেতাদের কাছে।

মো. আব্বাস উদ্দিন, মো. হুমায়ুন, বেল্লাল হোসেনসহ একাধিক ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, গত কয়েকদিন ধরে বাজার সদাই কেনা হয়নি এবং পহেলা এপ্রিল থেকে আরোও করাকরি নির্দেশনা আসতে পারে, আর তাই সপ্তাহের বাজার কিনতেই বাজারে আসা। জনসমাগম করা নিষেধ থাকা স্বত্বেও ভিড় করে খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করা স্বাস্থ্য ঝুঁকি মনে করেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ক্রেতারা বলেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতো অবশ্যই আছে তারপরেও পরিবারের দিকে তাকিয়ে খাদ্যসামগ্রীতো নিতেই হবে, জনসমাগম বা ভিড় হলেও কিছুই করার নেই।

শাক সবজি বিক্রেতা বেলায়েত হোসেন বলেন, সকাল থেকেই বাজারে ভিড় এ ছাড়াও বাজার সংলগ্ন প্রফেসার মজিদ মিয়ার দরবার (তাবলীগ জামায়াতের বিচ্ছিন্ন গ্রুপ) থাকায় এ বাজারে প্রায়সই ভিড় থাকে। তারপরেও অন্যান্য দিনের চেয়ে বর্তমানে এখানে ক্রয়বিক্রয় দ্বিগুন হচ্ছে। মুদি দোকানদার মো. সোহাগ বলেন, জনসাধারণকে দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে বলছি তবুও তারা কথা শুনছেন না। প্রশাসনের নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কি করবো,দোকানপাট বন্ধ করে বাড়িতে বসে থাকা ছাড়া অন্য উপায় দেখছিনা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জনসাধারণের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সাড়া দেশের ন্যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানসমূহ বাদে গণ পরিবহনসহ সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এবং যেসব এলাকা ও হাটবাজারে প্রশাসনিক নির্দেশনা অমান্য করছে সেইসব এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দোষি ব্যাক্তিদের অর্থদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও রেড ক্রিসেন্টসহ নৌবাহিনী ও চার থানার পুলিশ প্রশাসন মাঠে রয়েছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page