দোকানপাট বন্ধ রাস্তাঘাট ফাঁকা
পাল্টে গেছে তজুমদ্দিনের চিত্র
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পাল্টে গেছে তজুমদ্দিনের চিত্র। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক করোনা প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা চালা”েছ। প্রয়োজনের তাগিদ ছাড়া মানুষ তেমন ঘর থেকে বের হচ্ছে না। রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। ওষুধের দোকান, মুদি দোকান ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামালের দোকান ছাড়া সকল দোকানেই বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় মাঝে মাঝে দুই চারটি অটোরিক্সা, মটোরসাইকেল ছাড়া অন্যকোন যানবাহনের দেখা মিলছেনা। বাজারে ক্রেতা না থাকায় যেসকল ব্যবসায়ীরা দোকান খুলছে তারা বসে বসে অলস সময় কাটাচ্ছে।
খাসের হাট বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মোঃ নিরব জানায়, বাজারে মানুষ না আসায় কেনা বেচা নেই বললেই চলে। যেখানে আগে দৈনিক ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার মালামাল বিক্রি হতো এখন দুই হাজার টাকার পণ্যও বিক্রি করা যায় না। তবে ঢাকার সাথে লঞ্চ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় কিছু পণ্যের সংকট রয়েছে। তবে হাট বাজারগুলোতে ওষুধের দোকানে মানুষ কিছুটা চোখে পড়ার মতো। ফার্মেসি ব্যবসায়ী প্রনব চন্দ্র দাস বলেন, দোকানে যারা আসে তারা অসুস্থ্য হয়ে ওষুধের জন্য আসে। অধিকাংশ জ¦র, সর্দি ও কাশির রোগী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, ভোলা জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধের দোকান ব্যতীত মুদি দোকান সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এছাড়া সকল দোকানাপাট বন্ধ থাকবে। প্রত্যেকেই নিজ নিজ বাড়িতে থাকবে। আমরা কিছুদিন কষ্ট করলেই ইনশাআল্লাহ করোনা থেকে মুক্তি পাবো। প্রয়োজনের তাগিদে কেউ ঘর থেকে বের হলে ঘরে আসার সাথে সাথে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।ছবি-৪।