সর্বশেষঃ

ভোলা সরকারি কলেজের উদ্যোগে নিজেদের তৈরিকৃত স্যানিটাইজার বিতরণ

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এ আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। কোন ধরনের প্রতিষেধক না থাকায় সতর্কতা, সচেতনতা ও পরিষ্কার থাকাই আপাতত এ ভাইরাস প্রতিরোধের একমাত্র কৌশল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে হাতের মাধ্যমে এ ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার কথা জানিয়ে নিয়মিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করার জন্য বলা হচ্ছে। কিন্তু বাজারে এসব বস্তু চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। যে কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে অনেকে বিশেষ করে নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী মানুষ। তাই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী মানুষকে রক্ষার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি ও বিনামূল্যে বিতরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ভোলা সরকারি কলেজ।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকালে ভোলা সরকারি কলেজের পক্ষ থেকে কলেজের প্রধান ফটকে নিজেদের তৈরিকৃত হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন ভোলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম জাকারিয়া। এসময় বিভিন্ন পথচারী, রিক্সাচালক, অটোরিকশা চালকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের হাতে বিনামূল্যে এসব স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন, ভোলা সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক এস এম বশীর উল্লাহ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাহাবুব আলম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মোঃ এরশাদ, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জামাল হোসেন, দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মোঃ ইকবাল হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

  ভোলা সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক এস এম বশীর উল্লাহ বলেন, এ কাজটি আমারা আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই করেছি যখন দেখলাম সারাবিশ্বের মতো করোনা ভাইরাস আমাদের দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে এবং বাজারে কোন স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না এতে করে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পরছে। তাই মানুষকে বিনামূল্যে এসব স্যানিটাইজার বিতরণ করার লক্ষ্যে ভোলা সরকারি কলেজের পক্ষ থেকে আমরা এ কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহন করেছি। এ পর্যন্ত আমরা ৭০০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছি। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এসময় ভোলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ গোলাম জাকারিয়া বলেন, সাধারণ মানুষগুলো যেনো এ মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পারে সেই জন্য আমরা ভোলা সরকারি কলেজের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ মূলক এ ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। তবে সার্বিক এ প্রয়াসটি সার্থক হবে যদি সকল মানুষকে সচেতন করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত করা যায়।

এর আগে ভোলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ গোলাম জাকারিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় এই মহান কাজটি করার উদ্যোগ নেন রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক এস এম বশির উল্লাহ। গুরুত্বপূর্ণ এ কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন। সার্বিক এ কার্যক্রমে শুরু থেকে সমন্বয়ের কাজ করেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ এরশাদ। বুধবার (২৫ মার্চ) কলেজের রসায়ন বিভাগের গবেষণাগারে এস এম বশির উল্লাহর নির্দেশনায় রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ফিরোজ সরদার, অতিথি শিক্ষক মাহবুবা নাসরিন মিলে স্যানিটাইজার প্রস্তুত করেন। এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে একাদশ শ্রেণি বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম, তাইয়্যেবাতুন নাজিয়া, সায়মা আক্তার, সুমাইয়া আক্তার, মালিহা জাহান, মোঃ জায়েদ আনজাম, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান এবং মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের ঐশী দত্ত।

ল্যাব এসিস্ট্যান্ট এমএলএসএস তরিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ছাড়াও মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, সালেম, জুয়েল, সাইফুল ও নয়নসহ অন্যান্য অফিস সহায়কগণ সহায়তা করেন।

এ কার্যক্রমের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ উল্যাহ হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জামাল হোসেন দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মোঃ ইকবাল হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page