বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোলার বেতুয়া-মনপুরাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ
খালেদাকে মুক্তির সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন
বয়স বিবেচনায় ও মানবিক কারণে সরকার সদয় হয়ে দণ্ডাদেশ ছয় মাস স্থগিত রেখে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সিদ্ধান্তকে আওয়ামী লীগ নেতারা স্বাগত জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মানবতার মা, তার পক্ষেই এটা সম্ভব। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সিদ্ধান্তকে তারা ইতিবাচকভাবে দেখছেন। খালেদার মুক্তির বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জাগো নিউজের প্রতিবেদকের কাছে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তকে হাইলি এপ্রিসিয়েট করছি। এ ধরনের সিদ্ধান্ত বঙ্গবন্ধু কন্যার পক্ষেই সম্ভব। বয়স বিবেচনা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল রশিদ, কর্নেল হুদাদের যারা নেতা বানিয়েছিলেন তাদের এ ধরনের অপকর্ম হজম করে শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে মুক্তির নির্দেশ দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
এতদিন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুর কাদের বলে এসেছেন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আদালতের বিষয়। এটা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয় যে প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা করলেই মুক্তি দিতে পারবেন। এখন কীভাবে খালেদা জিয়া মুক্তি পেলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করার শর্তে এবং উক্ত সময়ে তিনি দেশের বাইরের গমন না করার শর্তে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সংবিধানের ৪৮/৩ ও ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রাষ্ট্রপতি এই দণ্ডাদেশ স্থগিত করেছেন।
আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেন, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বন করে এবং সংবিধানের ধারা ও অনুচ্ছেদ মেনে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। মানবিক কারণে সরকার সদয় হয়ে শর্ত সাপেক্ষে দণ্ডাদেশ ছয় মাস স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়া নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন। তবে বিদেশ যেতে পারবেন না- এ শর্ত তাকে মানতে হবে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বলেন, মানবিক কারণে সরকার সদয় হয়ে দণ্ডাদেশ ছয় মাস স্থগিত রেখে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার আত্মীয়-স্বজনও আবেদন করেছেন মুক্তির জন্য। তার ভাই শামীম এস্কান্দার, তার বোন সেলিমা ইসলাম, তার বোনের স্বামী রফিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি সাক্ষাৎ করেছেন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আবেদন জানিয়েছেন। এখানে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন। ফলে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এই মুহূর্তে গোটা দেশ ও বিশ্ব একটি আতঙ্কের মধ্যে আছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির এ ধরনের সিদ্ধান্ত বঙ্গবন্ধু কন্যার পক্ষেই সম্ভব। কারণ শেখ হাসিনা মানবতার মা। সংবিধান ও আইনি দিক যথাযথভাবে মেনে, বয়স বিবেচনা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটাকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি ভালো ভাবে দেখবেন বলে আশা করেন তিনি।
সূত্র জাগোনিউজ