সর্বশেষঃ

ভোলা রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যনের বিরুদ্ধে মেম্বারদের অনাস্থা প্রদান

ভোলা সদর উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যন মিজানুর রহমান খানের নামে অনিয়ম ও দূর্নীতিরি অভিযোগ এনে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে উক্ত ইউনিয়নের মেম্বারগন অনাস্থা প্রদান করেন।

আজ (২৩শে মার্চ) সোমবার স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ১০ জন মেম্বারগনের স্বাক্ষরে একটি অনাস্থা আবেদন জমা প্রদান করেন।

অনাস্থা প্রস্তাবকারী আঃ সালাম মেম্বার জানান, রাজাপুর ইউপির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান দীর্ঘ দিন যাবত ইউনিয়নের নানা অনিয়ম এবং দূর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন।আমরা ইউপি সদস্য গন অনেকবার চেয়ারম্যানের দূর্নীতির বিষয়ে অবহিত করি কিন্তু চেয়ারম্যান আমাদের কোন কথার কর্নপাত না করিয়া তার দূর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরোও জানান, উক্ত পরিষদের সরকারী গাছ ২ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন। সরকার থেকে দেওয়া টিউবওয়েল টাকার বিনীময়ে বিক্রি করেন। দরিদ্র জনগনের ঘর তালিকার বাহিরে অতিরিক্ত দামে অন্য মানুষের কাছে বিক্রি করেন। ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, জেলে চাল সহ কিছুই আমাদের মেম্বারগনকে না জানিয়ে মানুষের কাছে বিক্রি করেন। আমরা পরিষদের সদস্যরা কিছু বললেই আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটানোর ভয় দেখান।

এছাড়াও সর্বশেষ রাজাপুর ইউনিয়নে সরকার কতৃর্ক জেলেদের ২২৪ মেঃ টন চাল বরাদ্ধ হলেও ৪০ কেজি হারে চার হাজার ছয়শত জেলেদের মাঝে ১৮৪ মেঃ টন চাল জেলেদের বিতরন করে বাকি ৪০ মেঃ টন চাল নিজে আত্নসাত করেন।

এই দূর্নীতিগ্রস্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খানের হাত থেকে উক্ত ইউনিয়নের সাধারন জনগন পরিত্রান চান এবং জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হসস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অভিযোগ ও অনাস্থার ব্যাপারে চেয়ারম্যান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, রাজাপুর ইউপির মেম্বাররা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।