সর্বশেষঃ

লালমোহনে নির্যাতন ও হয়রানীর প্রতিবাদে ভূক্তভোগী তানজিলার সংবাদ সম্মেলন

ভোলার লালমোহনে কথিত পুলিশ সদস্য রাজিব কর্তৃক নির্যাতন ও হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গৃহবধু তানজিলা। ২২ মার্চ সন্ধ্যায় লালমোহন প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড হাজিরহাট নিবাসী হারুনুর রশিদের কন্যা মোসাঃ তানজিলা লিখিত বক্তব্যে এ সময় সাংবাদিকদের জানান, গত ১৪ জুন ২০১৮ইং সালে পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন লর্ডহাডিঞ্জ ৮নং ওয়ার্ড সৈয়দাবাদ গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে মোঃ রাজিবের সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ও উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিবাহ হয়। বিবাহের সময় রাজিব নিজেকে পুলিশের দারোগা হিসাবে পরিচয় দেয়। বিবাহের সময় আমার পরিবার রাজিবকে ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্নের চেইন ও ১ টি আংটি দেয়। বিবাহের কিছুদিন পর পুলিশ হেড কোয়াটারে রুম বরাদ্ধ পাবে এবং সেখানে টাকা লাগবে বলে আমার পরিবারের কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবী করে। আমার সুখের কথা চিন্তা করে আমার পরিবার রাজিবের হাতে ২ লক্ষ টাকা তুলে দেন। পুলিশ কোয়ার্টার রুম সে বরাদ্ধ পায় এবং আমাকে সেখানে নিয়ে যায়। সেখানে আমি গিয়ে জানতে পারি রাজিব পুলিশের দারোগা নন, সে পুলিশের বাবুর্চি। তার এমন প্রতারনার পরও সবকিছু মেনে নিয়ে তার সাথে সংসার করি।
কিন্তু এবার ওই রুমের আসবাবপত্র লাগবে বলে আবার আমার পরিবারের কাছে টাকা দাবি করে রাজিব। টাকা দিতে না পারায় আমার উপর শুরু হয় তার অমানবিক অত্যাচার। এর আগেও যে কোন প্রয়াজনে আমার পরিবারের কাছ থেকে টাকা দাবি করত সে। টাকা দিতে না পারলে আমার উপর অত্যাচার করত। যা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসানসহ স্থানীয় পর্যায়ে একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কিছুদিন পর পরই তা পূরণে ব্যর্থ হলেই অত্যাচার নেমে আসে। টাকা লাগবে বলে আমাকে জোরপূর্বক আমার বাবার বাড়ী পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু আমার পরিবার কোনো টাকা দিতে না পারায় আমাদের বাড়ীতে এসে আমাকে মারধর করে এবং বলে টাকা না নিয়ে তুই আমার বাড়ীতে আসতে পারবি না। রাজিবের সকল অন্যায় আচরণের সাথে তার পরিবারও সায় দেয়। আমার পরিবার কোন টাকা দিতে না পারায় আমাকে বাবার বাড়ী ফেলে রেখে কোন খরচাদি না দিয়ে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে বাধ্য হয়ে গত ১১ জুলাই ২০১৯ সালে তার মা জাহানারা ও ভাই জিয়াকে আসামি করে ভোলা কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজিব বলে, মামলা দিয়ে তুই কিছুই করতে পারবি না। আমার ওই মামলা থেকে গত ১৬ মার্চ ২০২০ তারিখে রাজিব তার পরিবার জামিন পায়। ঐদিন রাতে রাজিব জিয়া ও রাসেলসহ আরো কয়েকজন মিলে আমার বাবার ঘরে এলোপাথাড়ী হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা আমার মা শাহানুর বেগম ও বড় বোন মুক্তাকে মারধোর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এই ঘটনাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও থানার ওসি সাহেবকে অবগত করেছি। পরদিন ১৭ মার্চ থানায় মামলা দায়ের করতে চাইলে রাজীবদের প্রভাবে থানা মামলা নেয়নি। এদিকে হামলার ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অশালীন বক্তব্য উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করে রাজিব। যেখানে চরভূতা ইউপি মেম্বার কামাল হোসেনকে জড়িয়ে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার অশুভ চেষ্টা করা হয়। রাজিব এর অদৃশ্য্য ক্ষমতা ও অবৈধ টাকার কাছে আমি ও আমার পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।