ভোলায় শ্বশুরের নির্মম প্রতারণার স্বীকার কন্যা ও জামাতা

ভোলা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের আদর্শপাড়া সংলগ্ন আবুল বাসার মিয়ার বিরুদ্ধে তাহার ২য় কন্যার ও জামতার সাথে জমিজামা এবং লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্যদি ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে একটি প্রতারনা অভিযোগ করেন কন্যা ইসরাত জাহান ও জামাতা রাকিবুল ইসলাম রাকিব। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, অভিযোগকারী রাকিবুল ইসলাম রাকিব ২০০১ইং সালে ইসলামী সারিয়া মোতাবেক অভিযুক্ত আবুল বসারের ২য় কন্যা ইসরাত জাহানকে পারিবারিক সম্মতিক্রমে বিবাহ করেন। বিবাহের পর ভোলা পৌরসভায় একটি বাড়ি করার জন্যে জমি ক্রয় করার ইচ্চাপোষণ করেন রাকিব ও তার স্ত্রী। উক্ত বিষয়টি তাহার শ্বশুর আবুল বশার ড্রাইবারকে জানালে তিনি তাহার বসতবাড়ির পাশে থাকা ৮শতাংশের জমিতে থাকা পুকুরের ন্যায় একটি ডোবা ভরাট করলে ও তাহার বাড়ির ৪.৫ শতাংশ জমি বাবদ আরো নগদ ২লাখ টাকা দিলে, জমিটি দলিল করে দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন জৈনিক রাকিবের শ্বশুর আবুল বাশার ড্রাইভার।
এদিকে শ্বশুরের এমন সিদ্ধান্ত ক্রমে জামাতা রাকিবুল ইসলাম রাকিব তাহার সরল মনে স্ত্রী সাথে আলোচনা সাপেক্ষে শ্বশুরকে নগদ ০২-লাখ টাকা প্রধান করেন। পাশাপাশি ২লাখ ৬০হাজার টাকা ব্যায়করে উক্ত জমির ডোবাটি ভরাট করেন বলে জানা যায়। যদিও সেই সময়কার জমির প্রতি শতাংশের বাজার মুল্যে ছিল ৫০-৬০ হাজার টাকা মাত্র।
এদিকে জমি ভরাটের পরপরই শ্বশুরের করা ওয়াদা অনুযায়ী দলিল চাইলে শুরুহয় প্রতারক শ্বশুরের নানান প্রকার অজুহাত ও তালবাহানা। একপর্যায়ে রাকিবকে জমির কাগজপত্রাদি নিয়ে জটিলতা রয়েছে বলে ফের ১ল টাকা নগদ ধার সরুপ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যায়। তথ্যসূত্র আরো জানা যায়, একই এলাকার বাসিন্দা সেলিম চৌধুরীর সাথে তাহার শ্বশুর আবুল বশার ড্রাইভারের জমিজামা বিষয়ে বিরোধ রয়ছে। এবস্থায় প্রতারক শ্বশুর রাকিবকে বিষয়টি অবহিত করলে, উক্ত জমিটিকে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মানে সুরক্ষা ও দখল নেওয়ার কথা জানান। রাকিব তার শ্বশুরের কথামত আরো ১লাখ টাকা ব্যায়করে তাহার জমি সুরায় বাউন্ডারি দেয়াল সম্পন্ন করেন। যদিও সেই বাউন্ডারি কাজ সম্পন্ন করতে রাকিব স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম চৌধুরীর বাধার সম্মুখীন হতে হয়। একপর্যায়ে তাহার সাথে ঝামেলা মিটিয়ে রাকিব বাউন্ডারি কাজটি সম্পন্ন করেন বলেও জানা যায়।
এদিকে বাড়ি করার উত্তম মৌসুমে রাকিবুল ইসলাম আবার তার শ্বশুরের কাছ থেকে দলিল বুজিয়া পেতে আবেদন জানায়। পরে শ্বশুর বশার ড্রাইভার তার আবেদনের পেক্ষিতে ভোলা পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার কতৃক বাড়ির প্লানিং ও জমি মাপের জন্যে সরকারি আমিন দিয়ে পরচা ও অন্যন্য কাগজপত্র নিয়ে ৫’হাজার টাকা ব্যাংকের পে-ওয়াডার জমা দেওয়ার মাধ্যমে বাড়ি করার প্লানিং এ-র কাজ সম্পন্ন করে বলে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে তা জানা যায়।


এদিকে সর্বশেষ ২০১৯ ইং সালের পহেলা রমজান মাসে রাকিবুল ইসলামের শ্বশুর তার বাড়ির দলিল বুঝিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের হয় বলে, পরে সে বাড়ি নির্মাণের মালামাল আনতে শুরু করে। তবে প্রতারক শ্বশুর আবুল বশার ও তাহার দুই শালা সমুধিরা তাতে বাধাদেয়।
এরই কারন জানতে চাইলে, প্রতারক শ্বশুর বশার ড্রাইভার নাটকীয় এক ঘটনার জন্মদিয়ে বলেন, তার সন্তানেরাও এ-ই জমির ওয়ারিশগনের সমস্যাজনিত কারনে আপাতত এবিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিতে অপারগ বলে জানায় প্রতারক শ্বশুর। এমন অবস্থায় দীর্ঘ ১১বছরের এই নাটক ও শ্বশুরের করা নিত্যতার এই প্রতারণার সমাধান পেতে রাকিবুল ইসলাম ২০১৯ ইং সালে ভোলার পৌরসভার ৭/৮/ও ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বরাবর শ্বশুর বাড়ির প্রতারণার বিষয়টি তুলেধরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
পরে উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর সুলতানা রাজিয়া, জামাল মিয়া, সেলিম চৌধুরী, ও খোকন মিয়া এবং সাীগনের উপস্থিতে অত্র এলাকার স্থানীয় গম্যমান্য ব্যক্তিদের সন্মুখে ভোলা পৌরসভার বিচারকাজ ও শালিসির শুনানি ও রায় দেওয়া হয়।
উক্ত এই রায়ে বলাহয় সকল তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ও সাীগনের সাক্ষ্যপ্রমাণে জানা যায় রাকিবের কাছে ৪.৫ শতাংশ জমি বিক্রয়বাবদ তাহার শ্বশুর এই পর্যন্ত বিভিন্ন দাগে ১১ লাখ ৬০হাজাত টাকা নেওয়ার প্রমান রয়েছে। তাই ভোলা পৌরসভার বিচারকার্য বিচারকগণ রায়ে সকল কাগজপত্রে পর্যালোচনা করে ১ম পক্ষের কাছ থেকে ২য় পক্ষ ৪.৫ শতাংশের জমিবাবদ টাকা নেওয়া, ও পুকুর ভরাট কারা এবং বাউন্ডারি দেয়াল করে দখলের বিষয়টি সত্যতা প্রমানের ভিত্তিতে এই জমির মালিক হিসেবে রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে ২য় পক্ষ তাহার শ্বশুর আবুল বাশার মিয়াকে জমির দলিল ও অন্যন্য কাগজপত্র বুজাইয়া দিতে আদেশ দেওয়া হয় বলে উল্লেখ রয়েছে। অন্যথায় আইনত ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবে ১ম পক্ষ অর্থাৎ অভিযোগকারী রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
এ ব্যাপারে রাকিবুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। এই জমি ক্রয়বাবদ আমি আমার সরল মনে শ্বশুরের উপর বিশ্বাস আস্থা রেখে ৪.৫ শতাংশ জমিটি ভরাট করি। তাছাড়া জমির চারপাশে বাউন্ডারি দেয়ালসহ নগদ টাকা শ্বশুরকে প্রধান করি। তবে তিনি দীর্ঘদিন পর্যন্ত আমার স্ত্রী ও আমার সাথে বিভিন্নভাবে দলিল দেওয়ার নামে প্রতারনা করে আসছে এবং জমির দলিল দিতেও বিলম্ব করছে যাহা সম্পূর্ণরুপে প্রতারণা ও আইনের পরিপন্থী। তাই তিনি ভোলার পুলিশ সুপার ও স্থানীয় প্রশাসন এবং গণমাধ্যমের কাছে তার জমির দলিল ফিরে পেতে ও প্রতারক শ্বশুরের প্রতারণার হাত থেকে নিজে ও স্ত্রীকে বাচতে ভোলাবাসির সহোযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেন শ্বশুর আবুল বাসার ড্রাইভারের প্রতারনার স্বীকার রাকিবুল ইসলাম ও তাহার স্ত্রী ইসরাত জাহান।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।