বোরহানউদ্দিনে ভোগ্যপণ্যের সংকট দেখিয়ে দাম বৃদ্ধি ॥ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা
করোনা ভাইরাসের অজুহাতে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় হঠাৎ করেই চাল-পিয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ভোগ্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রয় করছেন এমন অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সর্বত্র। এতে মধ্য ও নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলো দিশেহারা হয়ে পড়ে। বিষয়টি প্রতিকারে বিভিন্ন বাজারে শুক্রবার সকাল থেকে অভিযানে নামেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বশির গাজী। অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে কয়েকজন দোকানীকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়,করোনা ভাইরাসের অজুহাত দেখিয়ে ভোগ্য পন্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি করেন কতিপয় ব্যবসায়ী।এ সব কারণে শুক্রবার সকালে তিনি অভিযান পরিচালনা করেন।অভিযানে বোরহানউদ্দিন বাজারের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বিক্রেতা ও পেয়াজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী পৌর সভার ৫নং ওয়ার্ডের ইয়াসিনের ছেলে শাহজাহান সহ এমরান,নজরুল,শাকিল কে আটক করা হয়।ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে আটককৃত শাহজাহান ,এমরানে ৫০ হাজার টাকা করে এবংনজরুল ও শাকিলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে কাচিয়া ইউনিয়নের কুঞ্জের হাট বাজারে বেশী দামে পিয়াজ বিক্রয় করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মুলাইপত্তন গ্রামের শাহজাহান ও বাসি পচা গ্রিল বিক্রয়ের অভিযোগে হোটেল আল মদিনার মালিক শাহিন কে ৩০ হাজার টাকা করে এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে মুদি ব্যবসায়ী সুকন্ঠ সাহা ও এরশাদকে যথাক্রমে ১০ হাজার ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বশির গাজী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,বিভিন্ন অনিয়মে পরিচালিত অভিযানে ২লাখ ২০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্যবৃদ্ধিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।