সর্বশেষঃ

করোনা আতঙ্কে দৌলতখানে বেড়ে গেল চাল ও পেয়াঁজের দাম

ছবি ফাইল

করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের পাশাপাশি চালের ও পেয়াঁজরে বাজার অস্থির করে তুলছেন । গত দুই দিনের ব্যবধানে দৌলতখান উপজেলায় বস্তা প্রতি চালের দাম ছয়’শ থেকে সাত’শ টাকা বেড়ে গেছে। কেজিপ্রতি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা, পর্যন্ত । গত একদিন আগে পেয়াঁজ কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় করোনা ভাইরাসকে পুজি করে যা এখন বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এ অবস্থায় চালের বাজার ও পেয়াঁজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা না হলে নিম্ম আয়ের অসহায় মানুষ গুলোর কষ্টের অন্ত থাকবেনা ।

দৌলতখান বাজার গুরে দেখা যায়, মিনিকেট চাল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মোটা চাল ৩৮ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে । ক্রেতারা বলছে, দুই দিন আগে এই চাল বিক্রি হয়েছে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা এক হাজার ৬০০ টাকায়। গতকাল তা পাঁচ শ থেকে সাত’ শ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি হয়েছে দুই হাজার টাকা থেকে দুই হাজার ২শ টাকায় ।

দৌলতখান বাজারে চাল পিয়াঁজ কিনতে আসা হাছনাইন নামে এক ক্রেতা জানান, চাল এবং পেয়াজের দাম শুনে মাথায় হাত পড়েছে । তিনি বলেন দুই দিনের ব্যবধানে করোনাভাইরাসকে পুজি করতে বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীরা চালের বস্তা প্রতি ৫,৬শ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন পাশাপাশি পেয়াজের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন কেজি প্রতি ৩৫ টাকা।

এমন অবস্থায় প্রশাসনের মনিটরিং খুব জরুরি না হলে নিম্ম আয়ের মানুষগুলোর কষ্টের সিমা থাকবেনা । রিয়াজ নামে একজন ক্রেতা জানান, চাল ব্যবসায়ীরা যাদের কাছ থেকে চাল ক্রয় করেন তাদের থেকে আলাদা কিছু খালি মেমো দোকানে রেখে ইচ্ছে মত দাম বাড়িয়ে ধর বসিয়ে রাখেন। সাংবাদিক কিংবা কোন কর্মকর্তা আসলে ওই মেমেগুলো দেখিয়ে দেন। দৌলতখান বাজারের চাল ব্যবসায়ী মালেক বলেন,পাইকারি বাজার থেকে আমাদের বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে । এ কারণে বাজারে দাম বেড়েছে। গত এক দুই দিনে চালের দাম এমন বাড়লো কি ভাবে? নাকি করোনাভাইরাসকে পুজি করার জন্য চওড়া মূল্যে বিক্রি করছেন? এমন প্রশ্নে ব্যবসায়ীরা কিছু না বলে মেমো দেখিয়ে দিন।

এই চওড়া মূল্যের চাল নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজুবুকে প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন সরকার যখন করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি হাতে নিয়েছেন। সেই মুহূর্তেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এই নোবেল করোনাকে পুঁজি করতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। অনেকে এই বিষয় ফেইজবুকে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে প্রশানের নজরে আনতে বিভিন্ন পোস্ট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এলাকাবাসীর দাবী জরুরী মুহূর্তে এই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।