ভোলা জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ৩৬৬ জন

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলকভাবে ভোলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিদেশ ফেরত নতুন করে আরও ১৬৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে জেলাটিকে ৩৬৬ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হলো। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কোয়ারেন্টিনে রাখা ব্যক্তিদের মধ্যে ওমান, ইতালি, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়া, আবুদাবি, অস্ট্রেলিয়া, কুয়েত, সৌদি আরব, দুবাই ও ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এমন ব্যক্তির সংখ্যাই বেশি বলে নিশ্চিত করেছে ভোলার স্বাস্থ্য বিভাগ। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলাটিতে নতুন করে ভোলা সদরে ৫ জন এবং লালমোহন উপজেলায় ১৬৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর আগে ৬ উপজেলায় এ সংখ্যা ছিল মাত্র ১৯৭ জন। এদের মধ্যে জেলার ভোলা সদররে ৫ জন, তজুমদ্দিনে ৭ জন, বোরহানউদ্দিনে ১৭ জন, দৌলতখানে ১২, চরফ্যাশনে ১৫৬ জন। আর আজ ভোলা সদরে-৫ জন এবং লালমোহন উপজেলায় ১৬৪ জন নতুন যোগ হয়েছেন।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী বলেন, ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা ব্যক্তিরা সবাই বিদেশ ফেরত। তাদের মধ্যে চার জনের জ্বর ও সর্দি-কাশি রয়েছে এবং অন্যরা মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছেন। এছাড়াও সুস্থ্য প্রমাণ হওয়ায় ইতোমধ্যে তিন জনকে কোয়ারেন্টিন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রস্তুত রয়েছে ভোলার স্বাস্থ্য বিভাগ। ইতোমধ্যে জেলা সদর হাসপাতালসহ প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ওয়ার্ড (আইসোলেশন) রাখা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে আটটি মেডিক্যাল টিম। এছাড়াও আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। পুরো জেলার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
তিনি আরো জানান, করোনা মোকাবেলায় সদর হাসপাতালে ২০ শয্যার আলাদা আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও একই ভাবে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয?েছে। জেলার ৭ উপজেলায় ৯টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যেখান থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সকল তথ্য আদান-প্রদান করা হবে। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে হটলাইন (০১৭১১-১৬৯২৬৫) চালু করা হয়েছে।
এ সময় তিনি জানান, যে সকল রোগী জ্বর, সর্দি, গলা ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালের দ্বারস্থ হবেন, তাদেরকে আলাদা স্ক্যানিং করার জন্য হাসপাতালে করোনা স্ক্যানিং সেন্টার খেলা হয়েছে। সেখানে সার্বণিক একজন ডাক্তার নিয়োজিত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।