সর্বশেষঃ

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল সারা দেশে স্থাপন করা হোক

(ফাইল ছবি)

আজ ঘটা করে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকী উৎযাপনের মধ্যে দিয়ে মুজিববর্ষ ২০২০ শুরু হচ্ছে। আর ২১ সালের এ দিন পর্যন্ত নানান কর্মসুচির/অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হবে মুজিববর্ষ। এ দিনটির শুভ লগ্নে জাতির কাছে আমার নিবেদন বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও নির্দেশনা অনুসরণ করা হবে তার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রর্দশন এ জন্য আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সর্ম্পকে জানতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অনেক লেখা হয় অনেক বক্তৃতা হয় কিন্তু সর্বক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর আর্দশ আর দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সকলকে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ এর ভাষনে স্বাধীনতা যুুদ্ধের দিক নির্দেশনা, ন্যায় বিচার, বাঙ্গালীর কল্যাণে ও সোনার গড়ে তোলার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার ভাষনে বলেন ৭ কোটি বাাঙ্গালীকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না এটাই আমার আত্মবিশ্বাস তিনি এমন সমাজ নির্মাণের কথা বলতেন যেখানে সবাই সমান সুযোগ পাবে কেউ কাউকে শোষণ করবে না, দখলদারি, লুটপাট করবে না তারাই আর্দশ আজ সমাজে অনুসরণ করা হয় না। তার আর্দশ অনুসরণ করা হলে তার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রর্দশন করা হবে। তিনি এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম মুক্তি আমাদের অপরিহার্য পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যার যা আছে তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়। আমি থাকবার পারি বা না থাকতে পারি তোমরা ভাইয়েরা ওদের রুখে দিয়ো। বাংলার মানুষের সংগ্রাম আন্দোলন কখনো বৃথা যায়নি বৃথা যাবে না। বিজয় আমাদের নিশ্চিত। ভাইয়েরা তোমরা এগিয়ে যাও, আমরা বাংলা মাকে মুক্ত করব সেদিন তার সে ভাষন বিশ্বের ইতিহাসে বিশ্ব নেতাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চ ভাষন শ্রেষ্ঠ ভাষণ যা জাতিসংঘের সদস্যভূক্ত ১৯৫ টি দেশ মর্যাদার সাথে স্বীকৃতি দিয়েছে আর পালন করছে যথাযথ মর্যাদা। গর্বিত জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ অনেক উর্ধ্বে। সেই ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক দিনটিকে ৭ ই মার্চ দিবস হিসাবে ঘোষনা করে পালন করা দাবি উঠেছে। সেই দাবির পেক্ষিতে আগামী ১ মাসের মধ্যে সরকারি ভাবে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোট্র্রে বিজ্ঞ বিচারক দয়।
একই সঙ্গে মুজিব বর্ষের দেশের সব জেলা, উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর মুরাল স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০ তারিখে বিচার পতি এফ. আর. এম নাজমুল আহসান ও বিচার পতি কে.এম. কামরুল কাদের এর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আর্দেশ দেন একই সঙ্গে রুলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তকেও ৭ ই মার্র্চের ভাষনের গৌরভ উজ্জল ইতিহাস অর্ন্তভূক্তির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে বিজ্ঞ আদালতের আর্দেশে বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে ১ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। আদালতের এই রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজিবি বশির আহাম্মেদ আর রাষ্ট্র পক্ষ ছিলেন ডেপুটি অ্যাটুনি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহামুদ বাশার ইতি পূর্বে ২০০৯ সালের ২৫ ই জুন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ ও অধ্যাপক মুনতাছির মামুন হাই কোর্টে রিট করেন সে রিটে রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষনের স্থান ও ১৬ ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পনের স্থান সংরক্ষনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটের রায়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭১ পরবর্তী স্থাপনা যেমন শিশু পার্ক, মহানগর পুলিশ নিয়ন্ত্রন কক্ষ, ফুলের মার্কেট সহ যা আছে সেগুলো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতের রায়ে এক বা একাধিক কমিটি গঠন করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭টি স্থান চিহ্নিত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন এই ৭টি স্থান ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সব ধরনের স্থাপনা অসারন করতে বলা হয়েছিল রায়ে। এসব বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছিল সেসব প্রতিবেদন দেখে আদালত উস্মা প্রকাশ করে বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্থে যা যা করা দরকার আদালত তা করবে বিগত ১০ বছরে অন্য কোথায় ও শিশু পার্ক সরাতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে ঢাকার বাচ্চাদের খেলার জায়গা নেই কিন্তু জায়গা তৈরি করে অন্যত্র শিশুপার্ক সরিয়ে নেওয়ার আদেশ বাস্তবায়ন না করলে কোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হউক।
এ মন্তব্য করেন হ্ইাকোর্ট আজ বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকী এ দিনে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা ও যথাযথ সম্মান প্রর্দশন করতে ৭ ই মার্চ দিবস ঘোষণা ও রেসকোর্স ময়দান অর্থাৎ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকল স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জনগনের দাবি। আর বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

 

লেখক : মোকাম্মেল হক মিলন

সিনিয়র সাংবাদিক, ভোলা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।