জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে পুলিশ সুপারের বাণী
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। এ দিনটি আমাদের জাতীয় শিশু দিবস। এ দিনে ভোলা জেলার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
জাতির পিতার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের মূল লক্ষ্যই ছিল বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে তাঁদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি আনয়ন। ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ‘৬৬-এর ৬-দফা, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচন এবং ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। তাঁর নেতৃত্বে আমরা অর্জন করি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
শিশুদের জন্য নিরাপত্তা, খাদ্য ও পুষ্টি, আশ্রয় ও সুরক্ষা এবং শিক্ষা ও স¦াস্থ্যের মতো মৌলিক চাহিদা সম্পর্কিত নানাবিধ কর্মসূচিসহ শিশুশ্রম বন্ধ করার লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় টেকসই উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান করা হচ্ছে। প্রায় শতভাগ শিশু এখন বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। শিশুদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করা, তাদের ব্যক্তিত্ব গঠন, সৃজনশীলতার বিকাশ এবং আত্মবিশ্বাসী করে তোলার লক্ষ্যে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং খেলাধুলার বিভিন্ন শাখায় শিশুদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদেরকে অনেক বেশী ভালবাসতেন। কারণ তিনি জানতেন আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। কাজেই শিশুদের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন শাখায় সম্পৃক্ত করতে তিনি সর্বদা উৎসাহ প্রদান করতেন।
সকল শিশুর সমঅধিকার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে পিতা-মাতা, পরিবার ও সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। শিশুর প্রতি সহিংস আচরণ এবং সকল ধরনের নির্যাতন বন্ধ করার জন্যে আজকের এদিনে আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আসুন, শিশুদের কল্যাণে আমরা আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করি। সবাই মিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স¦প্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২০ উদযাপনের লক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
সরকার মোহাম্মদ কায়সার
পুলিশ সুপার, ভোলা।