ডাক্তারের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ মৃত রোগির স্বজনদের
মনপুরা হাসপাতালে রোগির মৃত্যু নিয়ে হট্টগোল
ভোলার মনপুরায় হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগির মৃত্যুর ১ ঘন্টা পরও হাতের স্যালাইন ও ক্যানোলা না খোলাকে কেন্দ্র করে রোগির স্বজন ও কর্তব্যরত ডাক্তারের সাথে হট্টগোল শুরু হয়। এই সময় কর্তব্যরত ডাক্তার মোঃ সাব্বির রোগির স্বজনদের মারধর করেন বলে অভিযোগ করেছেন মৃত ব্যক্তির বড় ছেলে জামাল। রোববার বেলা ১১ টায় উপজেলা স্বাসথ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের রোগির স্বজনদের মারধরের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে হাজিরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দীপকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আবাসিক ডাক্তার (ডেন্টিস) মোঃ সাব্বির জানান, রোগির স্বজনরা ক্যানোলা ও স্যালাইন না খোলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ অশালীন আচরন করে। পরে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
জানা যায়, রোববার সকাল ৮ টায় পেটের প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে হাজিরহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ হানিফ (৬০) সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। একপর্যায়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগির মৃত্যু হয়। পরে মৃত্যুর ১ ঘন্টা পর রোগির হাতে থাকা ক্যানোলা ও স্যালাইন না খোলা ব্যাপারে স¦জনরা অভিযোগ করলে কর্তব্যরত ডাক্তার মোঃ সাব্বির উত্তেজিত হয়ে স্বজনদের মারধর সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এই ঘটনায় আতœীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে হাজিরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এই ব্যাপারে হাজিরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দীপক জানান, মৃত রোগির স্বজনদের কর্তব্যরত ডাক্তার মারধর করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে রোগির স্বজন, দায়িত্বরত টিএস ও ডাক্তারদের সাথে আলাপ করে আগামী সোমবার বসে ব্যবস্থা নেওয়া হবে আশ্বস্ত করা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এই ব্যাপারে দায়িত্বরত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মাহমুদুর রশীদ জানান, অফিসের কাজে ঢাকা আছি। ঘটনা শুনেছি। সোমবার হাসপাতালে এসে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।