নিন্মমানের উপকরন ব্যবহার

মনপুরায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কেন্দ্রে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী

ভোলার মনপুরার দক্ষিণ সাকুচিয়ায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের ভবন নির্মাণ কাজে নিন্মমানের উপকরন (ইট, বালু ও খোয়া) ব্যবহার করায় স্থানীয়রা নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। ভবন নির্মানের শুরুর দিকে তদারকি কর্মকর্তা স্বাস্থ্য প্রকৌশলী নুর মোহাম্মদকে নিন্মমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ করলেও তিনি ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে কাজের তদারকি কর্মকর্তা স্বাস্থ্য প্রকৌশলী নুর মোহাম্মদ সোমবার জানান, দ্বিতল ভবন নির্মানে প্রাক্কলিত ব্যয় এক কোটি ৫৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। প্রথম দিকে নি¤œ মানের খোয়া ও বালু মিশ্রিত থাকার অভিযোগ পেয়ে তা বাতিল করে নতুন ভালো মানের ইট ভেঙে খোয়া বানিয়ে তা দিয়ে বেইজ ও পিলার ঢালাই দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়, ঠিকাদার তা করেছেন।


স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মন্নান মাষ্টার, আবদুল গফুর চৌকিদার, মোহাম্মদ আলী রাঢ়ী, ফিরোজ, রফিক মেম্বার, হারুন খলিফা, আলাউদ্দিন চৌকিদার, হাশেম জমাদার, আলাউদ্দিন রাঢ়ী জানান, প্রথমদিকে পঁচা ইট, খোয়া, লোকাল বালু দিয়ে কাজ শুরু করে ঠিকাদার। তখন অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়নি ইঞ্জিনিয়ার। ফের নিন্মমানের উপকরণ দিয়ে কাজ শুরু করলে আমরা তা বন্ধ করে দিই।
ওই কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বাহালুল করিম এর ঠিকাদার মোঃ করিম জানান, তিনি চরফ্যাশন থেকে এ গ্রেড মানের জন্য হাজার প্রতি ১০ হাজার টাকা দরে ইট ক্রয় করে তা দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। এই ইটকেই এলাকায় ভালো মানের বলে দাবি করা হয়।
এদিকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৩০ শতাংশ জমিদাতা ও বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মৃধা জানান, ঠিকাদার নিন্মমানের লাকড়ীর পোড়ানো ইট, পঁচা খোয়া ও বালি দিয়ে কাজ শুরু করে। এমনকি সিমেন্ট, বালি ও খোয়া মিশ্রণের সময় লবণাক্ত পানি ব্যবহার করে। এই ব্যাপারে একাধিকবার ইঞ্জিনিয়ারকে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়নি। পরে একই মানের ইট, পঁচা খোয়া ও বালি ব্যবহার করে দ্বিতীয়ধাপে কাজ শুরু করলে স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দেয়।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিন্মমানের খোয়া, ইট ও বালুর স্তুপ পড়ে রয়েছে। ঢালাইয়ের জন্য খোয়া প্রস্তুত করলে স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দেয়। তবে বেইজ ঢালাই সহ কিছু ইটের গাঁথুনি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মনপুরায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ডাঃ আশরাফুল মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি শুনেছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে জেলা পরিবার পরিকল্পা বিভাগের উপ-পরিচালক মাহামুদুল হক আযাদ জানান, নিন্মমানের কাজ হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে তিনি বিষয়টি দেখভাল করার জন্য প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন। কাজের মান ভালো না হলে ভবনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে সাধারন মানুষ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।