সর্বশেষঃ

করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ৪০ জন কোয়ারেনটাইনে

করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধের কোনো যুক্তি নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম। ভাইরাসটি যাতে না ছড়ায় সে জন্য তিন স্তরে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

দেশে তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আজ সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য সচিব। এর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আসাদুল ইসলাম।

বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধের কোনো যুক্তি নেই, ভিত্তি নেই। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে বলেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম থেকেই সরকার সচেতন ছিল। তিন স্তরে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যাতে করোনাভাইরাস না ছড়ায়।’

স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম জানান, ইতালিফেরত দুজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তাদের মধ্যে একজনের সংস্পর্শে আসা ৪০ জনকে কোয়ারেনটাইন করে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা কনট্রাক্ট ট্র্যাকিং করি যে তারা কার সাথে মিশেছে, কোথায় গেছে, কোন বাজারে গেছে, কোন জায়গায় চা খেয়েছে সবকিছু করে আমরা প্রথমজনের জন্য ৪০ জনকে ট্র্যাক করে কোয়ারেনটাইনের ব্যবস্থা করেছি।’

‘আমাদের এটা সম্পূর্ণ ডব্লিউএইচও প্রটোকল যে আমরা কাদেরকে ফার্স্ট প্রটোকল ধরব, কাদেরকে এক্সটেন্ডেড প্রটোকল ধরব, তাদেরকে কীভাবে কোয়ারেনটাইন করবো, কীভাবে চিহ্নিত করবো সমস্ত ফলো করেই কিন্তু আমরা কাজ করছি’ আরও বলেন সচিব।

গতকাল দেশে তিনজন করোনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ঘোষণা দেয় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর)। এদের মধ্যে দুজন ইতালি ফেরত, আরেকজন তাদের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়। এ ব্যাপারে প্রশ্নের উত্তরে সচিব বলেন, ‘ভাইরাসের ধরনগুলো জানা দরকার। সব সময় থার্মাল স্ক্যানারে ধরা পড়ে না। ১০০ জনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। সব দেশের অন অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ৪০ জন কোয়ারেনটাইনে

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।