বিচারক স্ট্যান্ড রিলিজ
জামিন বাতিলের ৫ ঘণ্টা পর জামিন পেলেন আউয়াল দম্পতি
দুর্নীতির মামলায় জামিন বাতিলের ৫ ঘণ্টা পর আবারও জামিন পেলেন পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীন। জানা গেছে, দুর্নীতির মামলায় মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন আউয়াল দম্পতি। কিন্তু বেলা পৌনে ১২টার দিকে তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলা জজ আদালতের বিচারক মো. আ. মান্নান। এ রায়ের মাত্র ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে পিরোজপুর দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক নাহিদ নাসরিনের আদালতে জামিন বাতিলের আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানানো হলে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মুনসুর উদ্দিন আহমেদ জানান, শুনেছি জেলা জজ আদালতের বিচারক মো. আ. মান্নানকে আইন মন্ত্রণালয় আজই বদলি করেছে। এরপর যুগ্ম জেলা জজ দায়িত্ব পেয়েছেন। এছাড়া আর কোনও বিচারক বর্তমানে জেলায় নেই, যিনি দায়িত্ব বুঝে নিতে পারবেন। এর আগে, আউয়াল দম্পতির জামিন বাতিলের আদেশের পর বিক্ষোভ করেন আউয়াল সমর্থকেরা। এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পুলিশ ও র্যাব।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, পিরোজপুরের নাজিরপুর থানার সামনে সরকারি খাস জমি দখল করার অভিযোগ এনে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. আলী আকবর বরিশালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ৩ টি মামলা করেন। একটি মামলায় তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় ৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগ থেকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন পান আউয়াল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের আবেদন খারিজ করে জামিনাদেশ বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ। এ কে এম এ আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পর পর দুই বার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।