সর্বশেষঃ

জাতীয় ভোটার দিবস আজ

মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা পর্যায়ে পরিচয়পত্র সেবা সহজ করার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেইসঙ্গে ভোটার দিবস ২০২০ উপলক্ষে নানা ধরনের কার্যক্রমও হাতে নিয়েছে সাংবিধানিক এই সংগঠনটি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ বছরের ভোটার দিবস পালনেও পাচ্ছে ভিন্ন মাত্রা। জন্মশতবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে ইসি।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, ভোটার দিবস উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নানা ধরনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়ে থাকে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে এ বছর হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, তাই আমরা এবার আলাদা কিছু করতে চাচ্ছি।

তিনি বলেন, জাতির পিতার এই জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা আজ ভোটার দিবসে কিছু সংখ্যক নতুন ভোটারদের হাতে স্মার্ট আইডি কার্ড তুলে দিতে চাচ্ছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এই কার্ড তুলে দেবেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা জেলা পর্যায়ে বা মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা দিয়েছি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সহজ করার জন্য। অনেকেই এখনো ভোটার হননি বা অনেকেরই এনআইডি কার্ড নেই। তাদের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা এই কার্যক্রম সহজতর করবে সেই ধরনেরই নির্দেশনা দেওয়া আছে। আর এটা শুধু জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে। আমরা চাই বাংলাদেশের সব নাগরিকের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকুক।

এদিকে, আজ সোমবার সকাল ৮টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ হতে একটি র‌্যালি বের করা হবে যা শেষ হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে গিয়ে। এরপর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিকাল ৩টায় এক আলোচনা সভা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী মো. আনিসুল হক। এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব)।

উল্লেখ্য, মার্চ মাসটিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত্তি রচিত হয় এবং দেশপ্রেমিক শহিদদের আত্মদানের বিনিময়ে জাতীয় জীবনে একটি গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সূচনার জন্য গৌরবময় হওয়ায় ১ মার্চকে জাতীয় ভোটার দিবস উদ্যাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়। কিন্তু পরে ১ মার্চের পরিবর্তে ২ মার্চ এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। গণতন্ত্র, নির্বাচন, ভোটাধিকার বিষয়ে সাধারণ জনসাধারণ ও তরুণদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতি বছর জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপনের গুরুত্ব রয়েছে।

পৃথিবীর বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে বিশেষ করে সার্কভুক্ত দেশ এবং ফেমবোসার প্রতিনিধিত্বকারী দেশ হিসেবে জাতীয়ভাবে ভোটার দিবস উদযাপনের জন্য বর্তমান কমিশন দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। এজন্য দিবসটি মূলত গণসচেতনতা ও প্রচারণামূলক হওয়ায় সাধারণ জনগণসহ তরুণ ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ, উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টির লক্ষ্যে সবার্ধিক গুরুত্বপূর্ণ দিবস।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।