সর্বশেষঃ

জামিনে বেড়িয়ে বাদী পক্ষ্যকে হুমকি

ভোলার রাজাপুরে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে মেরে রক্তাক্ত ॥ মৃত্যু সজ্জায় সাজনু

ভোলার রাজাপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীকে মেরে রক্তাক্ত করে সমস্ত শরিরে পা দিয়ে পাড়িয়ে জরায়ু বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৯/০২/২০ ইং তারিখ মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজাপুরের কন্দকপুর গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডে পাতা কুড়ানকে কেন্দ্র করে সাজনু ও বিবাধিপক্ষ আনোয়ারা বেগমের সাথে তর্ক বিতর্ক হয় এক পর্যায় দুই জনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে আনোয়ারার ছেলে জুয়েল তার বাবা মালেক, ছেলে হোসেন দৌড়ে এসে রাজ মেস্তরি হাসান মালের ৭ম শ্রেনীর পড়ুয়া মেয়ে সাজনুকে এলোপাথরি মেরে রক্তাক্ত করে পা দিয়ে সমস্ত শরিরে পাড়িয়ে জরায়ু বের করে ফেলে জুয়েল গংরা।
সাজনুকে রক্তাক্ত অবস্থায় এলাকাবাসি উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর তাকে বরিশালের শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও তার অবস্থার আরো অবনতি হলে ডাক্তার তাকে ঢাকা হাসপাতালে ভর্তি করার নির্দেশ দেন। সাজনুর অবস্থা বর্তমানে আশংকাজনক। সাজনু ঢাকা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্চা লড়ছে।
এই ঘটনায় ভোলা থানায় মামলা হলে ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ আসামিদের গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরন করলে রোগী সুস্থ না হতে হতেই আসমীরা জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন বাদি পক্ষকের লোকজনদেরকে।
গত বৃহস্পতিবার ১২ টার সময় সাজনুকে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য নেওয়ার জন্য ভোলায় আনা হলে ভোলার থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি এনায়েতের সাথে উপজেলায় দেখা হলে ওসি এনায়েত সাজনুর অবস্থা খারাপ দেখে গ্রীন লাইনকে কিছুক্ষন দাড়িয়ে রোগীটিকে ঢাকায় নেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে কর্তৃপক্ষ তা শুনে রোগিটিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার ব্যাবস্থা করেন এবং জামিনে বেরিয়ে আসা আসামিদের আবারো গ্রেপ্তার নির্দেশ করেন ওসি এনায়েত। তিনি বলেন, রোগি সুস্থ্য না হতেই আসামি এত তারা তারি কিভাবে বের হলো এতে হতভাগ আমি। তিনি বলেন, আসামি যেখানেই থাকুক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে সাজনুর বাবা মেস্তরি হাসান মাল বলেন, বাবা আমি অসহায় আমার যে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ নেই এখন আমি কি করমু। আমি কিছুই জানি না। আমি গরিব, আমার নাই কোন টাকা, কিভাবে চিকিৎসা করামু, কোন পথ খুজে পাচ্ছি না। আমাকে কেউ-ই কোন সহযোগিতা করছেনা।
আসামি পক্ষের আনোয়ার বেগম জানান, বিষয়টি ভুল বুঝা-বুঝির মাধ্যমে হয়েছে। আর তাছাড়া আমরা নিজেরা-নিজেরাই। আমরা সাজনুর চিকিৎসা করাইত ২০ হাজার টাকা দিছি স্থানীয় এলাকার কিছু নেতা টাকাটি তাদেরকে না দিয়ে তারা ভাগা ভাগি করে নিয়ে বিষয়টি নাকি তারা সমাধান করে দিবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।