চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ

দৌলতখান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ”এক্স-রে মেশিন” ১২ বছরেও চালু হয়নি

দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে একটি এক্স-রে মেশিন থাকলেও টেকনেশিয়ানের অভাবে মেশিনটি ১২ বছর ধরে চালু করা হয়নি । এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের । ফলে টেকনেশিয়ান না থাকার কারণে দীর্ঘ ১২ বছর ধরেই তালা ঝুলছে এক্স-রে কক্ষটিতে ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি এক্স-রে মেশিন দেয়া হয় সরকারিভাবে । মেশিনটি আসার পর থেকে এক বছর চালু থাকলেও তারপর থেকে টেকনেশিয়ান না থাকায় দীর্ঘ প্রায় ১২ বছরেও এটি চালু করা হয়নি। ফলে এক্স-রে কক্ষটিতে এখন পর্যন্ত তালাবদ্ধ রয়েছে।

বর্তমানে মেশিনটির কী অবস্থ্যা তাও জানেন না কর্তৃপক্ষ । তাদের ধারণা যেহেতু এক্স-রে মেশিনটি দেওয়ার পর থেকে এক বছর চালানো হয়েছে অদ্য পর্যন্ত এক্সে-রে মেশিনটি ওপেন করা হয়নি।
তাই এটি অকেজো হয়েই পড়ে আছে । এদিকে হাসপাতালে এক্স-রে করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জটিল কোনো সমস্যা হলে রোগীদেরকে ডাক্তাররা বাইরের কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্সে-রে করার জন্য পাঠান । ফলে উন্নতমানের এক্স-রে করতে দ্বিগুণ অর্থ খরচ করতে হয় রোগীদের । যেতে হয় উপজেলা কিংবা জেলা সদরের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে । অনেক সময় দূর-দূরান্তে গিয়ে সাধারণ রোগীরা বেশি টাকা ব্যয় করে এক্স-রে করতে পারছেন না । আর কত দিন পর এক্স-রে কক্ষটির তালা খুলবে এ প্রশ্ন সচেতন মহলের । উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, টেকনেশিয়ান না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি চালু করা যাচ্ছে না । আমি হাসপাতালে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই এক্সে-রে মেশিনটি বন্ধ পেয়েছি। এ বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একটি ডিজিটাল এক্সে-রে মেশিনের জন্য চিটি পাঠানো হয়েছে ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।