তজুমদ্দিনে শিক্ষক অপহরণের চেষ্টা
ভোলার তজুমদ্দিনের শম্ভুপুর ইউনিয়নের সিমান্তবর্তী এলাকার মাছের ঘের থেকে চাপড়ী আলিম মাদ্রাসার ইংরেজি প্রভাষক গোলাম ছরোয়ার জুয়েলকে অপহণের সময় বোরহারউদ্দিনের হাসান নগর সাতবাড়ীয় তেমাথা থেকে দুই গ্রাম পুলিশের সহায়তা উদ্ধার করা হয়েছে। আহত জুয়েল মাস্টারকে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্রমতে জানা যায়, শম্ভুপুর ইউনিয়নের গোলাম ছরোয়ার জুয়েল ও হাসান নগর ইউনিয়নের নয়ন চৌধুরীর মধ্যধলী এলাকায় পাশাপাশি কয়েকটি মাছের ঘের রয়েছে। জুয়েল মাস্টারের ঘেরগুলো নয়ন চৌধুরীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। এর সূত্র ধরে শনিবার দিবাগত রাতে সুমন চৌধুরীর নেতৃত্বে চার টি মটোরসাইকেল যোগে মাছের ঘের থেকে জুয়ের মাস্টার কে জোরপূর্বক হাত মুখ বেধে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় বোরহানউদ্দিনের সাতবাড়ীয়া তেমাথা মসজিদের কাছে গেলে মুসল্লিদের দেখে জুয়ের মাস্টার মটোরসাইকেল থেকে লাফিয়ে পড়ে ডাক চিৎকার দেয়।
জুয়েল মাস্টার জানান, অপহণের সময় তার কাছ থেকে হুমায়ুন ব্যাপারীর দেয়া ১ লক্ষ টাকা ও ২ টি মোবাইল সুমন চৌধুরীরা নিয়ে যায়। গ্রাম পুলিশ জিয়াউর রহমান জানান এশারের নামাজের সময় মসজিদের কাছে চিৎকার শুণে গিয়া দেখি জুয়েল মাস্টারকে কয়েকজন লোক মারপিট করছে। রতন চৌকিদার সহ লোকজন জড়ো হতে শুরু করলে তারা হুন্ডা যোগে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেই।
খাসমহল পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জামাল উদ্দিন জানান, সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। লোকজনের কাছে খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন মাছের নিয়ে চাপা উত্তেজনা চলছিল। জুয়েল মাস্টার কে কয়েকটি হুন্ডা যোগে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।